চুনারুঘাটে মহিবুল হত্যার মাস পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার নেই

    0
    270

    চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের লাতুরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিবের পুত্র সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মহিবুল হোসেন (৪০) হত্যাকান্ডের ০১ মাস ০৫ দিন পেরিয়ে গেলে হত্যা মামলার আসামীদেরকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের লাতুরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিবের পুত্র সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মহিবুল হোসেন (৪০) কে একই গ্রামের মৃত আঃ জাহির ওরফে করম আলীর পুত্র সাবেক মেম্বার আঃ নূর, আঃ কাদির, আঃ খালেক, করিম হোসেনের পুত্র মারাজ মিয়া, মধু মিয়া, ফারুক মিয়া, মৃত নূর হোসেনের পুত্র জাহাঙ্গীর মিয়া, আলী হোসেনের পুত্র আক্তার মিয়া, আলতা মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া, কাউছার মিয়া, মোত্তাকিন মিয়া, আলী হোসেন, দুলাল মিয়া, মনাফ, রহমান, করিম হোসেন, নূর উদ্দিন সহ একদল দূর্বৃত্তরা পূর্ব জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উত্তেজিত হয়ে তাহাদের সাথে থাকা দা দিয়ে মহিবুল হোসেনের মাথায় কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দূর্বৃত্তরা।

    গুরুতর আহত অবস্থায় মহিবুল হোসেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ০৩ দিন থাকার পর গত ১৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল অনুমান ৪.১০ মিনিটে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিক মিয়া বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ২০ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    যার মামলা নং- জি.আর ২৪৫/১৮ ইং। হত্যাকান্ডের ০১ মাস ০৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে। উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন যাবত ধরে লাতুরগাঁও গ্রামের নূরা বাহিনীর প্রধান ও একাধিক মামলার পলাতক ওয়ারেন্টের আসামী সাবেক মেম্বার নূরা, আব্দুল কাদির, আঃ খালেক, মধু মিয়া, মারাজ মিয়া গংদের সাথে মহিবুল হোসেনের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

    এখনো নিহত মহিবুল হোসেনের পরিবারের সদস্যদের কান্নার আহাজারি থামেনি। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের এম.পি এড. মাহবুব আলী, চুনারুঘাট পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু তাহের মহালদার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান চৌধুরী, মিরাশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলতা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ মাষ্টার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মানিক সরকার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সামাদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রিপন সহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নিহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিবুল হোসেনের বাড়ি লাতুরগাঁও গ্রামে উপস্থিত হয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যদেরকে শান্তনা দেন ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছেন।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন চুনারুঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আলী আশরাফ। মামলা দায়েরের পর থেকে মামলার বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মহিবুল হোসেনের খুনীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসি দাবি করেন মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিক মিয়া ও এলাকাবাসী।