চুনারুঘাটে মরা খোয়াই নদী দখলবাজদের কবলে

    0
    513

    কচুরিপানা পচে ও ময়লা-আবর্জনায় দূর্গন্ধের সৃষ্টি

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২২আগস্ট,হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরশহর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খরস্রোতা নদী খোয়াই। পৌরশহরবাসী ও বাজারে সুবিধার্থে ২/৩ শত গজ পূর্ব দিকে খনন করে খোয়াই নদী নেওয়া হয়। ফলে নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। পরিত্যক্ত মরা খোয়াই নদীটি বর্তমানে দখল বাজদের কবলে। দিনদিন দখল হচ্ছে এই নদী। শুধু কি তাই ! চুনারুঘাট পৌরশহরের ময়লা-আবর্জনা এই নদীতে ফেলা হয়। তার মাঝে নদীতে কচুরিপানায় ভরপুর।ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানা পচে মারাত্মক দূর্গন্ধ ও মশা-মাছির সৃষ্টি হচ্ছে। দূর্গন্ধের কারণে ওই মরা খোয়াই নদীর আশপাশের বাসাবাড়ি ও দোকানপাট সহ দু’ব্রিজের যাতায়াত কৃত মানুষেরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ যেন দেখার কেউ নেই!
    নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানিয়েছেন,কচুরিপানা প্রতি বছর বছর পরিষ্কার করা হতো। বর্তমানে ৩/৪ বছর ধরে কচুরিপানা পরিষ্কার হয় না। ফলে কচুরিপানা ভরে গেছে মরা খোয়াই নদীটি। যে পরিমাণ কচুরিপানা যেন এর উপর দিয়ে মানুষ হেটে যেতে পারবে। অন্য দিকে কচুরিপানা ও ময়লা – আবর্জনায় দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। যদি কচুরিপানা ও ময়লা – আবর্জনা পরিষ্কার না করা হয়। তাহলে বিভিন্ন রোগব্যাধি আক্রান্ত হতে পারে মানুষেরা। তাই সচেতন মহলের দাবি যথা শিগ্রই ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার প্রয়োজন।
    এবিষয়ে চুনারুঘাট পৌর মেয়র মোঃ নাজিম উদ্দিন শামসু কে জানানো হলে তিনি জানিয়েছেন, ময়লা – আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত কোন স্থান নেই। তাই এখানে ফেলানো হয়। আমরা কিছু দিনের মধ্যে নির্ধারিত স্থান নির্ধারণ করে কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হবে।

    একউন্নয়ন কর্মী বলেন-এই মরা নদীকে এলাকার অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য মাছ চাষের উপযোগী করে সরকার প্রচুর রাজস্ব আদায় করতে পারে,এর জন্য ভাল স্থানীয় নেতৃত্বের প্রয়োজন।তাতে বেকারত্বও কমে যেত পরিবেশ ও ভাল থাকতো।

    এব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিরাজাম মুনিরা জানিয়েছেন, যথা শিগ্রই নদী দখল মুক্ত করা হবে ও দখল বাজদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।