চুনারুঘাটে নিশিকান্তের বিরুদ্ধে জমি আত্মসাৎ ও বিক্রির অভিযোগ

    0
    309

    চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার হাতুন্ডা এলাকার নিশিকান্ত শীল নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর ছোট ভাই রনজিৎ শীলের পালিত (মা) কে বিভিন্ন প্ররোচনা দিয়ে জমি আত্মসাৎ করে এ জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। পাওয়া তথ্য মতে, নিশিকান্ত শীলের ছোট ভাই রনজিৎ শীল ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ওনার আসল মা মারা যান। মারা যাওয়ার পর নিশিকান্ত শীলের পিতা জিতেন্দ্র শীল ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু পুত্র রনজিৎ শীল কে দত্তক দিয়ে দেন। পালিত মা ঊর্মিলা রানী শীলের নেই পুত্র সন্তান। উনার ৩ মেয়ে। রনজিৎ লেখাপড়া চলাকালে মারা যান ওনার স্বামী সতীশ চন্দ্র শীল। তখন তিনি অসহায় হয়ে পড়েন। দেখার মত কেউ ছিল না। এমতাবস্থায় সিলেট গোয়ালাবাজারে এক লোকের সহযোগিতায় রনজিৎ কে সেলুনের কাজ শিখার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে কাজ শিখে সামান্য বেতনে সংসারে হাল নিলেন রনজিৎ।

    হঠাৎ একদিন প্ররোচনা দিয়ে পৌরসভার হাতুন্ডায় বসবাসরত ৩ ভাই রনজিৎ কে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। রনজিৎ কে বিদেশে পাঠানোর নাম করে টাকা দাবি করে চাপ দিতে থাকেন। এমতাবস্থায় তিনি বাধ্য হয়ে নিশিকান্ত শীলকে ১ কানি জমি বিক্রি করে টাকা দেন। বর্তমান এই জমির মূল্যে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। এই জমির টাকা পেয়ে নিশিকান্ত শীল চুনারুঘাট বাজারে কাপড় দোকান দেন এবং রনজিৎ এর পালিত মা কে বলেন, বিদেশে যাওয়া বাতিল হয়ে গেছে। অসহায় মা নিশিকান্ত শীলের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি আর টাকা ফেরত দেননি। বরং জোরপূর্বক ভাবে উনার সমস্ত জমি আত্মসাৎ করে নেয়।

    ঊর্মিলা রানী শীল জানান, ১৯৯৮ ইং সনে আমাকে বিভিন্ন প্ররোচনা দিয়ে নিশিকান্ত শীলের বাড়িতে নিয়ে যান। তার বাড়িতে নিয়ে আমাকে ঝিয়ের মত কাজ করিয়াছেন। আমাকে রনজিৎ ভরণ-পোষন দেন বলে নিশিকান্ত শীল সহ তার ছোট ভাইয়ের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করতো। আমার ছেলে ও ছেলের বউকে বিভিন্ন যন্ত্রণার শিকার হতে হয়েছে। নিশিকান্ত শীলের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে অসহায় মা বুক ভরা আশা নিয়ে চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র নাজিম উদ্দিন শামসুর নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন।