চুনারুঘাটে দলিল লিখকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ 

    0
    431

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২সেপ্টেম্বর,ফারুক মিয়া: চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মৃত দিলীপ চন্দ্র রায়ের পুত্র শ্যামল চন্দ্র রায় রিংকু আবার সাব-রেজিষ্ট্রারী অফিসে ভূয়া নাম দস্তখত দিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রারী শুরু করেছেন লুকোচুরি করে। খাজনার রশিদে তিনি নিজেই খতিয়ান নাম্বার ও দাগ নাম্বার লিখে তার অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ম, শ্রেণী পরিবর্তন, ভূয়া নামে খাজনা আদায় সহ নানান অভিযোগ ওঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে মহাপরিদর্শক (নিবন্ধন) ঢাকা, জেলা প্রশাসক, জেলা রেজিষ্ট্রার, পুলিশ সুপার, দুর্নীতি দমন কমিশনার সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভূক্তভোগীরা।

    বিগত সময়ে শ্যামল চন্দ্র রিংকুর অবৈধ কার্যকলাপ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে সাসপেন্ড করে ও জেলা রেজিষ্ট্রার তার অপকর্মের বিষয়ে জিজ্ঞসাবাদ করলে সে খাজনায় খতিয়ান ও দাগ নাম্বার এবং ভূয়া নামে খাজনা রশিদ নিজে লিখেছে মর্মে স্বীকার করে। গত ৯ জুলাই ২০১৫ ইং তারিখে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) চুনারুঘাট তন্ময় ইসলাম তার অপকর্মের তদন্ত করলে সকল সত্যতা বেড়িয়ে আসে। তারপরও সে থেমে নেই। বিরামহীনভাবে চলছে খাজনায় ভূয়া দাগ নাম্বার দিয়ে দলিল। ভূক্তভোগী লোকজন তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। রিংকুর প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষ এখন জমি ভিটে হারা।

    এরপর থেকে বেপরোয়া দলিল লিখক শ্যামল রায় রিংকু বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। ভুক্তভোগীরা এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েও সঠিক কাগজপত্র নামজারী পায়নি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সুবিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এই ধরনের প্রতারক দুর্নীতিবাজ দলিল লিখক শ্যামল চন্দ্র রায় রিংকুকে আর চুনারুঘাট উপজেলাবাসী দেখতে চায় না।

    এরকম প্রতারক দলিল লিখককে আইনের আওতায় এনে তার সনদপত্র বাতিল করিতে ভূক্তভোগীরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান।