চুনারুঘাটে টানা বৃষ্টি, জলাবদ্ধতার বিপন্ন কৃষক

    0
    200

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৮সেপ্টেম্বর,ফারুক মিয়া,ফারুক মিয়া: চুনারুঘাট উপজেলায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার কৃষি জমিতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। এ কারণে বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমি তলিয়ে গেছে বহু কৃষকদের জমির রোপা আমন জমির ধান। অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। জেলার কৃষকরা অনুকূল আবহাওয়াকে পেয়ে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে এবার আমন ধান রোপন করেছিলেন। আরো দুই সপ্তাহ পূর্বেই সব এলাকায় কৃষকরা চারা রোপন শেষ করেছিলেন।

    জমির ধানগাছগুলো গাঢ় সবুজ বর্ণ ধারণ করে বাড়তে শুরু করছিল। কৃষি বিভাগ অনুকূল আবহাওয়ার সুবাদে এবার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে মাঠের পর মাঠ জমিতে তলিয়ে পানি থৈ থৈ করছে। তলিয়ে গেছে মাঠের বাড়ন্ত ধানগাছ। এ রকম সময়েই জমির ধান নষ্ট হচ্ছে। যখন আর নতুন করে চারাও পাওয়া যাবে না। এছাড়া এসব জমিতে নতুন করে চারা রোপনও করা যাবে না।

    জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের বরমপুর বিলে গিয়ে দেখা যায় পুরো বিলের সকল আমন জমিই পানিতে তলিয়ে গেছে। সেখানের স্থানীয় কৃষক হাজী আকবর হোসেন, ফারুক মিয়া, দিলবর মিয়া সহ অনেকে জানান, তারা ধার দেনা করে আমন আবাদ করেছিলেন।

    কিন্তু এবারের শেষ সময়ের অতিবৃষ্টিতে তাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। তারা যে টাকা দেনা করেছেন তা কিভাবে পরিশোধ করবেন ভাবতে পারছেন না। একই অবস্থা উপজেলার বেশির ভাগ এলাকার কৃষকদের। বিভিন্ন আমন মাঠ এখনও পানিতে একাকার হয়ে আছে। এত বেশি পানি হয়েছে যে এখনো কোন আমন জমি রয়েছে বা কোন ধান লাগানো হয়েছিল এরকম কোন আলামতই বোঝা যাচ্ছে না। চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এবার জেলায় মোট ৭৪ হাজার ৮৬৬ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টিতে সেই লক্ষ্যমাত্রা এখনো হুমকির মখে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী সারা জেলার ৪১০ হেক্টর আমন জমির ধান তলিয়ে গেছে।

    পানি নেমে গেলেই এসব জমির তেমন ক্ষতি হবে না। কিন্তু আরো এক সপ্তাহ যদি ধান নিমজ্জিত থাকে তাহলে এসব ধান বিনষ্ট হয়ে যাবে। তবে কিছু আমন বীজতলায় চারা মজুদ আছে। এসব চারা নতুন করে রোপন করে ক্ষতিটা পোষানো যাবে বলে চুনারুঘাট কৃষি অফিসার জালাল উদ্দিন জানান ও আশা প্রকাশ করেন।