চুনারুঘাটে ক্রেল এর সাংবাদিকদের সাথে প্রকল্প সমপর্কিত মতবিনিময়

    0
    376

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৭আগস্ট,এম এস জিলানী আখনজী: চুনারুঘাট উপজেলা সম্মেলন কক্ষে ইউএস এইড্ র ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইকুসিস্টেমস এন্ড লাইভ লিহুডস (ক্রেল) এর উদ্বোগে রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান কর্ম এলাকার ক্রেল এর বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন, চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশহুদুল কবির। সভাটি পরিচালনা করেন, লাইভ লিহুডস ফ্যাসিলিটিটর রেমা-কালেঙ্গা (ক্রেল) শরিফুজ্জামান।

    বক্তব্য রাখেন, ক্রেল এর কমিউনিকেশন অফিসার ইলিয়াস মাহমুদ পলাশ, চনারুঘাট রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক নুরুল আমিন, রিপোটার্স ইউনিটির সধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক হাছান আলী, সাংবাদিক এস এম তাহের খাঁন, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক আলহাজ্ব এম এ আউয়াল, সাংবাদিক কাজী মাহমুদুল হক সুজন প্রমূখ।

    উপস্থিত ছিলেন, এনআরএম ফ্যাসিলেটিটর সাতছড়ি (ক্রেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইট এনআরএম ফ্যাসিলেটিটর (ক্রেল) আবু হানিফা মেহেদী, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম, সাংবাদিক ফারুক মাহমুদ, সাংবাদিক দুলাল মিয়া,সাংবাদিক খন্দকার আলাউদ্দিন, সাংবাদিক আ: মুকিত ও সাংবাদিক আজিজুল হক নাসির প্রমূূখ।

    সভায় ক্রেল এর কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ছাড়াও জানান, জীব বৈচিত্র সংরক্ষণে ক্রেল প্রকল্প সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের চারদিকে  ৮৪টি গ্রামে কাজ করেছে। এসব গ্রামে প্রায় ৪ হাজার ভিসিএফ সদস্য রয়েছে। এসব সদস্যদের মধ্যে বিকল্প জীবিকায়নের জন্য বসত বাড়িতে সবজি বাগান, মাছ চাষ, ছাগল পালন, হাঁস পালন ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মমূখী করে তোলা হচ্ছে। তাদের (ক্রেল) লক্ষ্য যারা জীবিকার জন্য অবাদে বনজ সম্পদ নষ্ট করছে তাদেরকে প্রকল্পাধীন এনে সৎ উপায়ে আয়ের সুযোগ করে দেওয়া।

    সভা শেষে ক্রেলের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে তাদের বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে, কালেঙ্গার আওতাধীন আমতলা গ্রামের শিল্পী আক্তারের একটি পারিবারিক হাঁসের খামার পরিদর্শিত হয়। ঐ খামারে ক্রেল কর্তৃক ২৫টি হাঁস ও ৩মাসের খাবার দেওয়া হয়েছিল যা থেকে শিল্পি আক্তার বর্তমানে ৭২টি হাঁস এবং গত ১বছরে ডিম বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে ১৯হাজার ৫শত টাকা উপার্জন করেছেন।

    লাতুর গাওর মধু মিয়া ক্রেলের কাছ থেকে পোনা, খাদ্য এবং পরামর্শ নিয়ে মৎস খামার করে লাভবান হয়েছেন বলেও জানা যায়। উল্লেখ্য, পরিদর্শনকালে ক্রেলের আওতাধীন কয়েক কিলোমিটার সড়কে বৃক্ষের চারা রোপন করার দৃশ্যও দেখা যায়।