চুনারুঘাটে এক শিক্ষকের মোবাইল চুরি অতঃপর

    0
    214

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫ফেব্রুয়ারীচুনারুঘাটে এক স্কুল শিক্ষকের মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর ও চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।স্থানিয় সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে চুনারুঘাট উপজেলার মোঃ আব্দুল  কাদির মাস্টার এর বাসাতে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, মোঃ লুৎফুর রহমান মহালদার এর ছোট ছেলে মোঃ তানিম ও তার এক সহকারীকে নিয়ে ওই শিক্ষকের বাসায় বেড়াতে যায়। এসময় শিক্ষক বাসার অন্য রুমে থাকায় তাদের কে বসতে বলেন, এ সুযোগে তানিম শিক্ষকের বাসার ড্রেসিং টেবিলের উপর থাকা একটি (স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৪) মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শিক্ষক আগত অতিথি তানিমকে খুজলে থাকে রুমে পাননি।

    তাদের না পেয়ে শিক্ষক তারা কোথায় আছে তা জানার জন্য মোবাইল ফোনে মাধ্যমে যোগাযোগ করতে চান। এসময় টেবিলের উপর থাকা তার মোবাইলটি খুজে পাননি। হঠাৎ করে মোবাইল হাড়িয়ে যাওয়ায় শিক্ষক মোবাইল খুজাখুজি শুরু করলে  শনিবার গোপন সংবাদের বৃত্তিত্বে চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের বাদশার গাঁও মুন্সীবাড়ীর নাছির উদ্দীন নামের এক যুবকের কাছে আছে বলে জানতে পারেন।

    তিনি স্থানীয় কয়েকজন লোকজনকে নিয়ে ওই যুবকের কাছে যান এবং মোবাইল ফোনটি তার কাছে দেখতে পান। এ সময় শিক্ষক তাকে মোবাইলটি কার এবং তিনি কোথায় পেয়েছ্নে জিঞ্জাসা করলে, নাছির জানায়, আমি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফুর রহমানের ছোট ছেলে মোঃ তানিমের নিকট থেকে ক্রয় করেছি। তারপর ওই শিক্ষক স্থানীয় মুরুব্বিয়ানদেরকে বিষয়টি অবগত করেন।

    মুরুব্বিয়ানগণ নাছির এর কাছে মোবাইল ফোন কোথা থেকে পেল তা জানতে চান, কিন্তু নাছির মোবাইল ফোনের মালিককে মোবাইলের কাগজ পত্র দেখতে চায়, শিক্ষক মোবাইলের সকল কাগজ পত্র দেখানোর পর মোবাইল তাহার বলে প্রমাণিত হয়। পরে নাছির কে চাপ সৃষ্টি করলে সে তার চাচাত ভাই ( ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে) তানিমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করছে বলে জানায়।

    তার পর তানিমের কাছে মুরুব্বিয়ানরা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রথমে সে অস্বীকার করার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা চাপ সৃষ্টি করলে সে স্বীকার করতে বাধ্য হয়। ভাইস চেয়ারম্যানের পুত্র হওয়াতে অতি গোপনে ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ীতে ব্যাপারটি মিমাংশা করেন মুরুব্বিয়ানরা।

    ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে খবরটি পৌছলে তিনি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে চেয়াম্যানের সহযোগীতায় শিক্ষকের মোবাইল ফোনটি ফেরত পেছেন বলে জানাগেছে। ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে এ ঘটনা করায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।