চুনারুঘাটে আবুধাবী ফেরত তফুরা খাতুন আহত:মামলা দায়ের

    0
    248

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০আগস্ট,ফারুক মিয়াঃ চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত উছমান আলীর পুত্র আঃ মান্নান (৪৫) ও মোঃ সাধু মিয়া (৪০) এবং তার সহযোগী সাধু মিয়ার পুত্র ফটিক মিয়া (২৫) সহ আদম পাচারকারীদের হামলায় দক্ষিন রানীগাঁও গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের কন্যা তফুরা খাতুন (২২) গুরুতর আহত হয়েছে।

    জানা যায়, গত ২ মাস পূর্বে তফুরা খাতুনকে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে দালাল আঃ মান্নান ও তার সহযোগিদের কথায় আবুধাবীতে পাঠিয়েছিল। সেখানে তার কথায় কাজে মিল না পাওয়াতে আবুধাবীতে তফুরা খাতুন নির্যাতনের শিকার হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। সেখানে তার অসুস্থতা দেখে আবুধাবীর লোকজনরা তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। সে দেশে ফেরত এসে তফুরা খাতুন তার একমাত্র ভাই ফারুক মিয়ার বাড়িতে আসলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা এ বিষয়ে দালাল আঃ মান্নানকে মোবাইল ফোনে আলাপ করে এক বিচার সালিশে বসেও এ ব্যাপারে কোন সুরাহা হয় নাই।

    পরে গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে আদম বেপারী আঃ মান্নান ও তার সহযোগীদের সাথে তফুরা খাতুন টাকা ফেরতের ব্যাপারে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তারা রানীগাঁও বাজার নামক স্থানে তাকে আসতে বলে। তফুরা খাতুন তাদের সাথে দেখা করতে আসলে টাকা ফেরতের বিষয়ে কথা হলে এক পর্যায়ে কথাকাটাকাটি হলে দালাল আঃ মান্নান ও তার সহযোগিরা উত্তেজিত হয়ে তফুরাকে বেদড়ক মারপিট করে পালিয়ে যায়।

    এসময় তফুরা খাতুনের শোর চিৎকারে স্থানীয় বাজারবাসীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করে। আহত তফুরা খাতুন জানান, ২ মাস পূর্বে আমাকে প্রলোভন দিয়ে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে আবুধাবী পাঠায় দালাল আঃ মান্নান। আমি আমার বাবার স্বত্ব বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা দালাল আঃ মান্নানের হাতে তুলে দেই। বিদেশে গিয়ে পৌছার মাত্রই আমার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু হয়। আমি সেখানে নির্যাতনের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে আবুধাবীর লোকজন আমাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়।

    এ ব্যাপারে তফুরা খাতুন দালাল আঃ মান্নানের সাথে টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তারা রানীগাও বাজারে আসতে বলে। রানীগাঁও বাজারে তফুরা খাতুন তাদের সাথে দেখা করলে টাকা ফেরতের ব্যাপারে কথা আসলে দালাল আঃ মান্নান বলে ৬০ হাজার টাকা আমি নিজে নেই নাই, টাকাটি ভিসার জন্য আবুধাবীতে খরচ হয়। এক পর্যায়ে কথাকাটাকাটি হলে টাকা না দিয়ে দালাল আঃ মান্নান ও তার সহযোগিরা মিলে তফুরা খাতুনকে বেদড়ক মারপিট করে পালিয়ে যায়।

    এ ব্যাপারে তফুরা খাতুন চুনারুঘাট হাসপাতাল থেকে চুনারুঘাট থানায় হাজির হয়ে দালাল আঃ মান্নান ও তার সহযোগি সহ ৩ জনকে আসামী করে চুনারুঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করেন চুনারুঘাট থানার এস.আই আবু আব্দুল¬াহ জাহিদ। নিরীহ তফুরা খাতুন সুবিচার পাওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।