চুনারুঘাটে আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের 

    0
    312

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪জুলাই,ফারুক মিয়াঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এক আদম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রতারণার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কাতার পাঠানোর নামে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে প্রতারকের বিরুদ্ধে। চুনারুঘাট উপজেলার পৌর এলাকার মমিনপুর গ্রামের আক্কাছ আহমদের শ্যালক শফিকুল আলম জাবেদকে কাতার যাওয়ার জন্য কাতার প্রবাসী রিমু তালুকদার কাতার নিবে বলে তার কাছ থেকে প্রতারক সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা সমজিয়া নেন। জানা যায়, উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের শিংপাড়া গ্রামের প্রতারক শাহনূর তালুকদার ও তার ছেলে কাতার প্রবাসী রিমু তালুকদারের হাতে এককালীন নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন আক্কাছ আহমেদ। এখন পর্যন্ত আক্কাছ আহমেদ ভিসা পাননি।

    টাকা দেওয়ার পর থেকে সে এখন পর্যন্ত অপেক্ষায় রয়েছে বলে তিনি জানান। কিছুদিন পূর্বে দেখা যায়, ওই প্রতারক এসে আক্কাস আহমদকে একটি জাল ভিসা আক্কাছের নিকট হস্তান্তর করলে কাতার দূতাবাস তা প্রত্যাখ্যান করে। সেই জাল ভিসা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের এক পর্যায়ে আক্কাছ আহমদ প্রতারকের ঘটনা জানতে পেয়ে এ ব্যাপারে তিনি সাথে সাথে থানায় হাজির হয়ে বাদী হয়ে প্রতারকের বিরুদ্ধে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাতের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আদম বেপারী শাহনূর তালুকদার ও তার ছেলে রিমু তালুকদারকে আসামী করে এই অভিযোগ করা হয়।

    আক্কাছ আহমদ বলেন, আমাদের পরিশ্রমের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা করছে প্রতারক। এ ব্যাপারে স্থানীয় বেশ কয়েকবার মুরুব্বীদের মধ্যস্থতায় আমি অনেক সময় দিতে বাধ্য হই। তিনি আরো বলেন দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা করার পর বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছাটা হতাশায় নষ্ট হয়ে গেছে।

    বিষয়টি নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের এবং চুনারুঘাট থানার ওসি অমূল্য কুমার চৌধুরী ও শিংপাড়া গ্রামের তাহের মিয়া এবং পৌরসভার কাউন্সিলর রহম আলী, মানিক সরকারসহ মধ্যস্থতায় নিয়ে বসলেও এ বিষয়ে কোন সুরাহা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতারক শাহনূর তালুকদার দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া পীর ও কবিরাজ সেজে সহজ সরল নারী পুরুষ নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরেছে। সম্প্রতি শিংপাড়া তার বাড়ি আস্তানা গড়ে তুলেছে।

    বাড়িতে চেম্বার ও পীর সেজে আস্তানা দেখিয়ে উঠতি বয়সী যুবতীদেরকে নিয়ে নাচগান ফূর্তি আমোদ করতে থাকে। সে কবিরাজ সেজে সাধারন মানুষদের তাবিজ কবজ ঝারফুক দিয়ে জ্বিনের ধরা, স্বামী-স্ত্রীর অমিল, ক্যান্সার, যক্ষ্মা রোগ সহ বিভিন্ন রোগের সমাধানের আশ্বাস দিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।