চুনারুঘাটের সাতছড়িতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

    0
    220

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫সেপ্টেম্বর,শংকর শীল,হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আযহার টানা ছুটিতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যে পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড় ছিল লক্ষনীয়। টিলাঘেরা সবুজ চা বাগান, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, ত্রিপরা পল্লী, সীমান্তবর্তী চা বাগানে অবস্থিত ছায়ানিবিড় পরিবেশে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ৭টি ছড়া ঘুরে ঘুরে দেখেন আগত পর্যটকরা।
    শনিবার ঈদের দিন বিকেল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভিতরের বিভিন্ন ট্রেইল, পাহাড়ি ছড়ায় ও ত্রিপরা আদিবাসী পল্লীতে পর্যটকে মুখরিত ছিল। অন্যদিকে উপজেলার রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য পাহাড়ি উঁচু-নিচু টিলার মাঝে লেক ও তার শাখা-প্রশাখা, চারপাশে পাহাড়ি টিলার উপর সবুজ চা বাগানের সমারোহ, ঝলমল স্বচ্ছ পানি, ছায়ানিবিড় পরিবেশ, শাপলা শালুকের পরিদর্শনে পরিবার সদস্যদের নিয়ে আসা পর্যটকদের আনন্দের বাড়তি মাত্রা যুক্ত করে।
    সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঈদের ছুটিতে বেড়াতে আসা লুবনা আক্তার, সিলেটের কলেজ ছাত্র ফয়সল আহমেদ, হবিগঞ্জের এনজিও কর্মী আরিফুর রহমান, নরসিংদীর ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন, বি-বাড়িয়ার চাকুরীজীবি আবুল কালাম, শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, কুমিল্লার প্রভাষক সিরাজুল হক বলেন, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের প্রাকৃতিক অপরূপ দৃশ্য আমাদেরকে মুখরিত করেছে। তার পাশাপাশি এ উদ্যানের বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ, চশমা পড়া হনুমান, মেছোবাঘ আমাদেরকে খুবই আকৃষ্ট করেছে।
    সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্ঠা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজাম মুনিরা বলেন, বৃষ্টির কারণে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্যে পর্যটকদের আগমন কম হওয়ার আশংকা করলেও বাস্তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ঈদের দিন বিকেলে ও পরের ২ দিন জাতীয় উদ্যানে প্রচুর পরিমাণে পর্যটকের আগমন। ৩ দিনে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ ফি বাবদ ২ লক্ষাধিক টাকা আয় হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।