চীনে ১৭১জন বাংলাদেশীকে আনা এ মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না

    0
    239

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে থাকা ১৭১ জন বাংলাদেশিকে আনতে বাংলাদেশ বিমানের কোনো উড়োজাহাজ ও ক্রুকে দেশটিতে পাঠানো যাচ্ছে না। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল থেকে আটকে পরা বাংলাদেশিদের আনা এ মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না।

    শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “চীন থেকে ৩১২ জনকে ফিরিয়ে আনতে বিমানের যে ক্রুরা গিয়েছিলেন তাদের অন্য দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে এখনো যারা রয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনতে অনেক অর্থ খরচ করা হয়েছে। এরপরও তাদের দেশে আনা যাচ্ছে না। শুধু চীনের বিমান প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ফিরিয়ে আনতে পারে। এ বিষয়ে চীন প্রথমে রাজি হলেও পরে তারা নাকচ করে দেয়। চীনে কোনো ক্রু সদস্য না যেতে চাওয়ায়, আমরা কোনো ফ্লাইট পাঠাতে পারছি না।”

    আব্দুল মোমেন বলেন, “প্রথমে এসে তাঁরা খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন, আমরা তাঁদের প্রথম শ্রেণির সেবা দিইনি। পাঁচ তারকা হোটেলে রাখিনি। তাঁদের কেন ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখব? এখন যাঁরা আসতে চান, তাঁদের আনতে গেলে অনেক টাকা খরচ হবে। আমরা তাঁদের আনতে চাই। কিন্তু আমাদের বিমান যেটি আগে গিয়েছিল, তার ক্রুদের সবাই এখন লেট কোয়ারেন্টাইনে বসে আছেন। এখন তাঁরা কোথাও যেতে চাচ্ছেন না। বিমান কোথাও যেতে চাচ্ছে না। আমরা ডিসইনফেকশন করেছি অনেক টাকা খরচ করে। ১ লাখ ৩৩ হাজার ডলার বাড়তি খরচ হয়েছে। এ জন্য আমরা বলেছি, যাঁরা ফিরতে চান তারা যদি চাইনিজ চার্টার্ড ফ্লাইট ঠিক করে…আমাদের দূতাবাসকে বলছি তারা চেষ্টা করছে। একপর্যায়ে পাওয়া গিয়েছিল (চার্টার্ড ফ্লাইট) এখন চীনারা অনুমতি দিচ্ছে না। তাই আমরা একটি দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি।”

    উহানে থাকা বাংলাদেশিদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তাঁদের খাওয়া-দাওয়া সব চীনারা নিশ্চিত করছে। চীনের একজন উপনেতাকে তাঁদের জন্য যুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ২৩টি জায়গায় থাকেন। একেকটি জায়গায় লোক নিয়োগ করা হয়েছে। খাবার-দাবার, পানীয়সহ তাঁদের সবকিছু যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি বলে থাকেন খাবার পান না, এটা ঠিক না।”

    বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস কী করছে- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দূতাবাস যোগাযোগ রাখছে। নিয়মিত তাঁদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। ৩৮৪ জনের একটি গ্রুপ করা হয়েছে উইচ্যাটে। তাঁদের বলেছি, ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে চাইনিজরা যখন বলবে, তখন তোমরা আসো। সরকার যদি ওদের পয়সা দিয়ে না আনে, তবে এদের ৮০ শতাংশই আসবে না। বাকিগুলো থেকে যাবে। সরকার বিনে পয়সায় নিয়ে আসে, সে জন্য তাদের আরেকটু উৎসাহ আছে। তারা এখানে আসলে ভালো হয়ে যাবে, এটা ঠিক না।”

    আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসে চীনে ইতোমধ্যে সাত শতাধিক মানুষ মারা গেছে, আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে।