চীনের অর্থনৈতিক অঞ্চল আনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ

    0
    240

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬সেপ্টেম্বর ম আহমদ : বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্দেশ্যে  চীনা উদ্যোক্তাদের জন্য চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৭৭৪ একর জমির ওপর আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

    বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আনোয়ারা-২ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রায় ৮০০ একক জমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন করা হবে।২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

    দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে শিল্পোন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। চীনের জন্য এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে,” বলেন মন্ত্রী।

    গত বছর জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে এই বিশেষ অর্থনৈতিক ও শিল্প অঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব দেন। পরে এ বিষয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।ওই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্তের ভিত্তিতে জমি দেবে এবং চীন সরকারের মনোনীত প্রতিষ্ঠান ওই জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবে।প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী,অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হবে ৪২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। বরাদ্দের ৯২ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে জমি অধিগ্রহণে। অর্থের যোগান দেওয়া হবে সরকারি তহবিল থেকে। জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি নিরাপত্তা শেড, গার্ড পোস্ট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।

    সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে ২০১০ সালে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন করা হয়। এর আওতায় আগামী ১৫ বছরে দেশে একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান এবং প্রতিবছর ৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করতে চায় সরকার।ইতোমধ্যে মংলা ও ভেড়ামারায় ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য দুটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের বিষয়েও সমঝোতা স্বারক সই হয়েছে।

    এ ছাড়া, মঙ্গলবারের একনেক বৈঠকে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ ৫ হাজার ৩৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ের সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।