চা শ্রমিকদের মদের পারমিট দাবী

    0
    383

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫জুলাই,ফারুক মিয়াঃ বাংলাদেশের চা বাগানের শ্রমিকরা কিভাবে জীবন যাপন করেন, সর্বস্তরের মানুষ যেমন জানেন, তার চেয়ে বেশী ভাল জানেন বর্তমান  দেশের কর্তা ব্যাক্তিরা। চা শ্রমিকরা মদপানে অব্যস্ত। তাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে স্বাধীনতার পরও তারা এক টাকা বায়ান্ন পয়সায় এক বোতল মদ কিনতে পারতেন। দুই টাকা পচিশ পয়সায় পারমিট নিতেন। আর এখন নব্বই টাকায় পারমিট করে প্রায় একশ টাকায় এক বােতল মদ কিনতে হয়।

    এ বছর আবার মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মত ফরমান জারি হয়েছে। বর্তমানে সরকারের নামে বিগত ১১/১২/১৪ইং তারিখে এক আদেশ বলে চা শ্রমিকদের মদের পারমিট ফি টাকা জমা দিতে হবে চুনারুঘাট থেকে ১৫০কিলোমিটার দুরত্বে সিলেট শহরে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সোনালী ব্যাংকে। যে চা শ্রমিকরা হবিগঞ্জ শহরে একা যেতে ভয় পায় ঐ চা শ্রমিকরা কিভাবে বিভাগীয় শহর সিলেটে গিয়ে ৪/৫শ টাকা গাড়ি ভাড়া দিয়ে মদের পারমিট করবে, যা অকল্পনীয়।

    শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে যে সমস্ত কর্মকর্তা সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুণ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন তারা একবারও খোজ নিয়ে জানার চেষ্টা করেছেন পুর্বে শ্রীমঙ্গল পণ্যগারে ১২/১৪ট্রাক ¯প্রীরিট আসত আর এখন ৪/৫গাড়িতে নেমে দাড়িয়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্বির সঙ্গে সঙ্গে যেমন অন্যান্য পণ্যের চাহিদার পরিমাণ বেড়েছে, কিন্তু এ পন্যের চাহিদা কমে আসার কারণ কি? খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি বাগানের আনাচে কানাচে অবৈধ্য মদের কারখানা গড়ে উঠেছে। ঐসব কারখানা থেকে সস্তায় বিষাক্ত মদ ও নেশা জাতীয় জিনিষ কিনতে পারে । এতে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এক দিকে বিষাক্ত নেশায় শ্রমিকরা বিভিন্ন দুরোগ্য ব্যাধিতে যেমন আক্রান্ত হচ্ছে। তেমনি তাদের কর্মক্ষমতাও দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে।

    এ ব্যাপারে সরকারের উচিত জরিপের মাধ্যমে সঠিক তথ্য বের একটি গ্রহনযোগ্য মুল্য ও পারিমট ফিসের হার নির্ধারণ করা। পাশাপাশি অবৈধ মদের কারখানা ও নেশার দ্রব্য বন্ধ করতে হবে, করলে সরকারের রাজস্ব যেমন বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে তেমনি চা শ্রমিকরা রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পাবে। ব্যাপারটি সরকারকে ভেবে দেখার দাবি জানিয়েছেন অবহেলিত চা শ্রমিকরা এবং মদের পারমিটের ফিস স্ব স্ব এলাকার সোনালী ব্যাংকে জমা দেয়ার বিধান করার দাবিও জানিয়েছেন।