চা বাগানে চুক্তিনামার অজুহাত:মজুরি নিয়ে ধামাচাপার অভিযোগ

    0
    413

    দাবি আদায়ে অনড় চা শ্রমিকদের আবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২জুলাই,শাব্বির এলাহীঃসাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরি আদায়ে চা বাগান শ্রমিকরা অনড়। চুক্তিনামার অজুহাত দেখিয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা এই দাবিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে শ্রমিকরা অভিযোগ তোলেছেন। ২০১৩ সালের সংশোধিত শ্রম আইনে সকল শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরি প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই দাবি আদায়ে শ্রমিকরা বাগান ব্যবস্থাপকের কাছে লিখিত আবেদন অব্যাহত রেখেছেন।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের সংশোধিত শ্রম আইনের ১০৩ (গ) ধারা মোতাবেক সকল শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরি প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু দেশের কোনো চা বাগানে শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরি প্রদান করা হয়নি। সম্প্রতি চা শ্রমিকরা এই দাবি আদায়ে বাগানে বাগানে সভা করে চা বাগান ব্যবস্থাপক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করছেন। চা শ্রমিক সংঘের আহ্বায়ক রাজদেও কৈরী বলেন, দীর্ঘ দিন হতে আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরি প্রদান করার দাবি জানিয়ে আসছি। ন্যায্য মজুরি, উৎসব ভাতা, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান ইত্যাদি দাবিতে চা-শ্রমিক সংঘের পক্ষ থেকে একাধিকবার সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।

    আলীনগর চা বাগানের দয়াশংকর কৈরী, রূপনারায়ন কৈরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, শ্রম আইনে সাপ্তাহিক ছুটির মজুরি প্রদানের সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকায় চা শ্রমিকরা এই দাবি আদায়ে যখন সোচ্চার হয়ে উঠছেন, তখন চা শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক রামভজন কৈরী চুক্তিনামার অজুহাত দেখিয়ে এই দাবিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এটি শ্রমিকদের আইনি প্রাপ্য দাবি। এটাকে চুক্তিনামায় অন্তর্ভূক্তের কোন প্রয়োজন নেই বলে তারা দাবি করেন। তারা আরও বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই চা শ্রমিক ইউনিয়নের এই নেতা মালিক পক্ষের তাবেদারি এবং সাধারন শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    আলীনগর চা-বাগানের রূপনারায়ন কৈরী, সজল বাক্তি, রণজিৎ নুনিয়া জানান, তারা ছুটির দিনের মজুরি প্রদানের জন্য সর্বপ্রথম গত ১৪ জুন বাগানের ব্যবস্থাপক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। সুনছড়া চা বাগানে সুখরাম নায়েক, দিবা বৈদ্য জানান, সম্প্রতি তাদের বাগানের ৬৭ জন শ্রমিক সাপ্তাহিক ছুটির দিনের মজুরি প্রদানের জন্য বাগান ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। এছাড়াও দেওরাছড়া, শমশেরনগর, রাজনগর, কুরমা, পাত্রখলা, হবিগঞ্জের নয়াপাড়া, চুনারুঘাট, সিলেট সহ বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিকরা এই আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।