চা বাগানের এক শ্রমিককে কুপিয়ে আহতঃ৪ঘন্টা কর্মবিরতি

    0
    195

    আমারসিলেট24ডটকম,২১মে,শাব্বির এলাহী মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার দেওরাছড়া চা বাগানের শ্রমিক বস্তির ঘরে প্রবেশ করে কূপিয়ে এক চা শ্রমিককে আহত করার প্রতিবাদে হামলাকারীর  শাস্তির দাবীতে চা শ্রমিকরা ৪ ঘন্টার কর্ম বিরতি পালন করে। বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা বাগানে বিক্ষুদ্ধ চা শ্রমিকরা কর্ম বিরতি পালন করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, বাগান কর্তৃপক্ষ চা শ্রমিকদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে শ্রমিকরা কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেয়।

    দেওরাছড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও চা শ্রমিকরা জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের গণই মিয়ার ৭টি গরু দেওরাছড়া চা বাগানের ১৫ নং সেকশনে প্রবেশ করে। এসময় প্লান্টেশন এলাকার পাহারাদার চা শ্রমিক সুবল কুর্মীর ছেলে সুভাষ কূর্মী গুরুগুলোকে নিয়ে বাগানের খোয়াড়ে আটকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে গণই মিয়া ১ হাজার টাকা ফিস দিয়ে গরু ছাড়িয়ে নেন। বিকাল ৪টার দিকে গনই মিয়া দেশীয় অস্ত্র দা নিয়ে সুভাষ কুর্মীর বাড়ীতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার ভাই চা শ্রমিক দুলাল কুর্মী (২২) কে গলায় কুপ দিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বাগান হাসপাতালে ও পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় চা শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে এবং ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে বুধবার সকাল ৮টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করে। বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল ঘটনাস্থলে এসে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস প্রদান করলে কর্মবিরতি তুলে নিলে দুপুর ১২টায় চা শ্রমিকরা কাজে যায়। দেওরাছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক নাদিম খান জানান, এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর নিকট অভিযোগ দায়ের করা হলে ইউপি চেয়ারম্যানের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসে শ্রমিকরা দুপুর ১২টায় কর্মবিরতি তুলে কাজে যোগ দিয়েছে। আহত চা শ্রমিক দুলাল কুর্মীর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে বাগানের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

    রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমদ বদরুল বলেন, তিনি এ ঘটনার সমাধান করে দিয়েছেন। তারপরও শ্রমিকরা যদি ইউনিয়নে লিখিত কোন অভিযোগ দেয় তা হলে আনুষ্ঠানিক বিচার করে দিবেন।

    উল