মৌলভীবাজারে চারটি ধানের জাত উদ্ভাবনের ঘোষণা

    0
    357

    “হাফিজা-১, জালালিয়া, তানহা ও ডুম নামে এমন চারটি ধানের জাত উদ্ভাবনের ঘোষণা দিলেন মৌলভীবাজারের বিশিষ্ট জিন বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৩অক্টোবর,আলী হোসেন রাজন: পরিমাণে কম সার ব্যবহার করে বছরের যে কোনো সময়ে রোপণ করে মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যেই মিলবে ফলন। এমন চার জাতের ধান উদ্ভাবনের ঘোষণা দিলেন ধান গবেষক ও বিশিষ্ট জিন বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এ বিজ্ঞানী সম্প্রতি দেশে এসে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার নিজ গ্রাম কানিহাটিতে শুরু করেন তার নিজের উদ্ভাবিত হাফিজা ১, জালালিয়া, তানহা ও ডুম নামের চার জাতের ধানের পরীক্ষামূলক কাজ।

    বছরের যে কোন সময় রোপন করা যায় এমনকি মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যেই মিলবে ধান। সারও লাগবে কম। হাফিজা-১, জালালিয়া, তানহা ও ডুম নামে এমন চারটি ধানের জাত উদ্ভাবনের ঘোষণা দিলেন বিশিষ্ট জিন বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ধান গবেষক এ বিজ্ঞানীর বাড়ী মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কানিহাটি গ্রামে। প্রায় পাঁচ বছর গবেষণা করে দেশীয় ধান থেকে ব্রিডিং করে এ ধান উদ্ভাবন করেছেন তিনি। গত জুন মাসে গ্রামের চার বিঘা জমিতে চারা রোপন করে এ চার জাতের ধানের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করেন আবেদ চৌধুরী। অগ্রহায়ণের বদলে এবছর আশ্বিনেই ফসল তুলেছেন ঘরে। কম খরচে ফলনও হয়েছে ভালো।

    উদ্ভাবিত নতুন ধান বীজে প্রতি ৩০ শতাংশ জমিতে উৎপাদন হয়েছে হাফিজা-১ ধান ১২ মণ, জালালিয়া ১৪ মণ, তানহা ১০ মণ এবং ডুম ধান ১১ মণ। তবে পাখির আক্রমণে তানহা ও ডুম জাতের ধানের উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে।

    চারা রোপণের পর আবেদ চৌধুরী অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেলে ফসল দেখাশুনার দায়িত্ব পান বিডার মুজিবুর রহমান। তিনি জানান, খুবই অল্প পরিমাণে কীটনাশক ও সার ব্যবহার করে এমন ফলন পাওয়ার আশাই করা যায় না।

    এ জাতের ধান রোপনে ইতিমধ্যেই অনেক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ জাতের ধানকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন  ধান গবেষক ও জিন বিজ্ঞানী আবেদ চৌধুরী।

    মাত্র ১০৮ দিনের মাথায় ধান সংগ্রহ করায় আনন্দ বোধ করেন এলাকার কৃষকরা। দ্রুত সময়ে ধান কাটলে একই জমিতে রবিশস্য উৎপাদনের আশা থাকায় এলাকার প্রায় সকল কৃষক এ জাতের ধান উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। সরকার ধানের এ ৪টি জাতকে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশের কৃষকদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দেয়ার দাবী জানান কৃষকরা।