চাঞ্চল্যকর শিশু রাজন হত্যাকান্ডের মূল নায়ক কামরুল সিলেটে

    0
    263

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬অক্টোবরঃ সিলেটে চাঞ্চল্যকর শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যাকান্ডের মূল নায়ক কামরুল ইসলামকে নিয়ে সিলেটে পৌঁছেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কামরুলকে নিয়ে সড়কপথে ঢাকা থেকে সিলেট এসে পৌঁছেছে পুলিশ।

    কামরুলকে নিয়ে সরাসরি সিলেট নগরীর নাইওরপুলস্থ সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের (এসএমপি) কার্যালয়ে এসেছে পুলিশ। বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা থেকে সড়কপথে সিলেটের পথে রওনা দেন এসএমপি’র এডিসি (মিডিয়া) রহমত উল্যাহ এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ এফ এম নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।

    পরে এসএমপি কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসএমপি কমিশনার কামরুল আহসান জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে আদালতে তোলা হবে। তিনি বলেন, সিলেটে আনার পর থেকে এ ২৪ ঘন্টা সময় গণনা হবে। তিনি বলেন, যেহেতু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে, সেহেতু তারা এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করবেন না। তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ মামলার চার্জশিট হয়েছে। কাজেই এ বিষয়ে কামরুলের স্বীকারোক্তির প্রয়োজন নেই।

    এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ৫৭ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি থেকে তারা ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছান। কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাবুবুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার এ এফ এফ নেজাম উদ্দিন ১২ অক্টোবর সৌদি আরব গিয়েছিলেন।

    গত ৮ জুলাই ভোরে ‘চোর’  অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৩ বছরের শিশু রাজনকে। নির্যাতনকারীরাই শিশুটিকে পেটানোর ভিডিও ধারণ করে এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। ২৮ মিনিটের ঐ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে  বাঙ্গালিদের মাঝে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

    এদিকে, ঘটনার পর কামরুল গত ১০ জুলাই দুপুর ২টায় সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন। তবে গত ১৩ জুলাই সেখান থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার গত ১৬ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলামসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। ২৪ আগস্ট আদালত মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন।

    সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে ১ অক্টোবর থেকে রাজন হত্যার বিচার শুরু হয়েছে। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই মামলার ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে রাজনের মা-বাবাসহ ৩৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেন  বিজ্ঞ আদালত।