চশমা চুরির অভিযোগে এতিম শিশুকে নির্মম নির্যাতন

    0
    256

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১জুন,এম ওসমান:  যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর বাজারে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি চশমা চুরির অপবাদ দিয়ে জাকির হোসেন (১৪) নামে এক এতিম শিশুকে গাছে ঝুলিয়ে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরে চা এর  গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছে চা দোকানদার সোহারাব হোসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটি শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সে নারিকেল বাড়ীয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।

    এলাকাবাসীরা জানায়, জাকির হোসেন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারটার দিকে শিকারপুর বাজারে সোহারাব হোসেনের চা‘য়ের দোকানে টেলিভিশন দেখছিল। তার ঘুম লাগায় সে শিকারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় ঘুমানোর জন্য যাচ্ছিল। এমন সময় সোহারাব তাকে ডেকে বলে টেবিলের উপর আমার একটা চশমা ছিল সেটা তুই চুরি করেছিস। তখন সোহারাবের দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম ও রাসেল, পাশের ওয়েল্ডিং মিস্ত্রী জামির এবং খামারপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল একত্রিত হয়ে তাকে দঁড়ি পায়ে বেধে গাছে ঝুলিয়ে রড দিয়ে বেদম ভাবে পিটিয়ে জখম করে।

    পরে চা‘র দোকানের ফুটন্ত গরম পানি তার পিঠে ঢেলে দেয়। বেদম মারপিট খেয়ে ও গরম পানিতে ঝলসে পা উপরের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছিল তখন স্থানীয় কয়েক জন তাকে উদ্ধার করে লক্ষণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। তার অবস্থা দেখে চেয়ারম্যান দ্রুত শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করতে বলেন।

    লক্ষনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, একটি চশমা চুরির অপবাদ দেওয়া হয়েছে শিশুটির বিরুদ্ধে। যদি শিশুটি চশমা চুরি করেও থাকে তাহলেও তাকে এভাবে পিটিয়ে গায়ে গরম পানি ঢেলে দেওয়া উচিৎ হয়নি। এটা অমানবিক আমাদের বললে আমরা বিচার করতাম। তারপরও তাকে গাছে ঝুলিয়ে মারা হয়েছে। এর জন্য চা‘র দোকানদার সোহরাবকে শাস্তি হওয়া উচিৎ।

    শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, এ ঘটনায় আমারা জানতে পেরে রবিবার চা‘র দোকানদার সোহরাব’র এক ছেলেসহ ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একজন অফিসার পাঠিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনা যদি সঠিক হয় চা‘র দোকানদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।