আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৯ডিসেম্বরঃ চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর একটি মসজিদে গ্রেনেড হামলায় কর্নেলসহ ১২’জন আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।আহত কর্নেলের নাম ডা. জাহিদ। এছাড়া আহতদের একজনের অবস্থা গুরুতর। শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় পতেঙ্গার ঈশা খা ঘাঁটিতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ হাজারী একটি বিদেশি মিডিয়াকে জানিয়েছেন, নামাজ শুরু হওয়ার পর প্রথম রাকাতেই এই হামলা চালানো হয়।
“সুরা ফাতিহা পড়ার পরই দুটো গ্রেনেড ছুঁড়ে এই হামলা চালানো হয়েছে,”বলে জানান তিনি। সেখান থেকে অবিস্ফোরিত তিনটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, হামলার সময় মসজিদে দুশো জনের মতো মুসল্লি নামাজ পড়ছিল।এ ঘটনায় মিজান নামে নৌবাহিনীর একজন ব্যাটম্যানকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান। পুলিশ বলছে, তৃতীয় গ্রেনেডটি ছোড়ার সময় স্থানীয় মুসল্লিরাই তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
হারুনুর রশিদ হাজারী বলেন, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার জন্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন।
মসজিদটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাব ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। সেখানে আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে। পুলিশ বলছে, আটক ওই ব্যক্তি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের ভুয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে নৌবাহিনীতে চাকরি নিয়েছিলেন।
যে মসজিদটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেটি অত্যন্ত সংরক্ষিত এলাকায। সাধারণ লোকজনের সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। সাধারণত কলোনির লোকেরাই সেখানে নামাজ পড়তে যান।
আহতদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর যিনি গুরুতর আহত হয়েছেন তাকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।সুত্র,আইআরবি