চক্ষুহাসপাতালের জমি জবর দখল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে

    0
    238

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪ফেব্রুয়ারী,আলী হোসেন রাজন মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার চক্ষুহাসপাতাল সংলগ্ন জমির মালিকানা ও দখল নিয়ে যে বিতর্ক জমে উঠেছে সেই প্রেক্ষাপটে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জমির একাংশের মালিক পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী গোলাম আবু সালেহ নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।

    রবিবার সকাল ১১টায় প্রেসকক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে গোলাম আবু সালেহ বলেন, চক্ষুহাসপাতালের জমি জবর দখল প্রচারণাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি বলেন, শহরতলির মাতারকাপন মৌজার এস,এ ৮৪১ দাগে মোট ভূমির পরিমান ৭.১৫ একর। তার মধ্যে ৩.৫৭ একর ভূমি সরকার মালিকানায় রয়েছে। বাকি ভূমি রয়েছে ব্যক্তি মালিকানায়। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে তার পিতা আব্দুল মালিক ০.৬০(দুই বিঘা) একর জমি ভিন্ন ভিন্ন দলিরের মাধ্যমে ক্রয় করেন ১৯৯০ সনে। হালনাগাদ আর ,এস রেকর্ডে উল্লেখিত জমির মালিকানা আব্দুল মালিকের নামে নিশ্চিত হয়েছে।

    এমতাব্যবস্থায় সরকারী জমি অথবা সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত চক্ষু হাসপাতালের মালিকানাধীন সম্পত্তির সীমানার বাহিরে তারা স্থাপনা নির্মান করছেন। এখানে জবর দখলের প্রসঙ্গটি আবান্তর। আবু সালেহ বলেন, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে চক্ষু হাসপাতালকে সামনে খাড়া করে একটি মহল প্রবাসী বিনিয়োগকেক বাঁধাগ্রস্থ করছে। তিনি জানান, তাদের মালিকানাধীন জমির বিষয়ে কোর্টে মামলা হয়েছিল। জেলা যুগ্ন জজ আদালতের মামলার রায় তাদের পক্ষে হয়েছে।

    এ রায়কে চেলেঞ্জ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ২০০২ সনে হাইকোর্টের আপিল করলে এই আপিল মামলার (সিভিল রিভিশন ১৩০৭/২০০২) বিজ্ঞ বিচারক নিম্ন আদালতের রায়কে বহাল রাখেন এবং ক্রয়কৃত জমিতে বাঁধা নিষেধ দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এমতাবস্থায় জমির মালিক পক্ষ থেকে প্রবাসী গোলাম আবু সালেহ সম্প্রতি দেশে এসে জমির উপর স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নিলে বাদ প্রতিবাদ জমে উঠেছে।

    গত শনিবার বিকেলে চক্ষু হাসপাতালের জমি জবর দখল করে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ফলে শহরে প্রসঙ্গটি নিয়েও ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা জমে উঠেছে।