ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আরো এগিয়েছে : আগামীকাল ভোর রাত থেকে আঘাত হানতে পারে

    0
    283

    ঢাকা, ১৫ মে : প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মহাসেন বাংলাদেশের দিকে আরো এগিয়ে এসেছে। আগামীকাল ভোর রাত থেকে দিনের যে কোন সময় আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মহাসেন উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের ৮০০ কিলোমিটারের ভেতরে চলে আসায় চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরের ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত নিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া মংলা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা থেকে ৭৬০ কিলেমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল মহাসেন। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ চট্টগ্রামের কাছ দিয়ে খেপুপাড়া টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

    মঙ্গলবার বিকেলে সবিচালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির এক সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় উপকূলের ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে এলে স্থাপিত ডপলার রাডারের মাধ্যমে জানা যাবে কোথায়-কখন-কিভাবে আঘাত হানবে। বুধবার রাতে এ বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, উপকূলীয় ১৩টি জেলার সাতটি অঞ্চলের ৩৭টি উপজেলার ৩২২টি ইউনিয়নে সর্বাত্মক প্রস্তুতির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এসব এলাকায় সাইক্লোন প্রস্ততি কর্মসূচির ৪৯ হাজার ৩৬৫ জন প্রশিক্ষিত সেচ্ছাসেবক আগাম সতর্ক বার্তা প্রদানে কাজ করছে।

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, মহাসেন আঘাত হানলে দুর্গতদের আশ্রয়ে তিন হাজার ৭৭০টি আশ্রয় কেন্দ্র কার্যকর রয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল স্কুল আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে স্কুলগুলো ছুটি দেয়া হবে। ত্রাণ তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপকূলীয় ১২টি জেলার প্রত্যেকটিতে অতিরিক্ত তিন লাখ করে টাকা ও একশ’ মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মহাসেন টেকনাফ থেকে মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানলেও ঝড়ের প্রভাব পড়বে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলজুড়ে। ঝড়টি মাঝারি মাত্রার বলে এখন পর্যন্ত ধারণা করা হলেও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উপকূলের চার-পাঁচশ’ কিলোমটারের মধ্যে এলে এর তীব্রতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।

    গত শনিবার বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল থেকে এক হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরে নিম্নচাপ সৃষ্টির পর এক’শ কিলোমিটার এগিয়ে তা ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে রূপ নেয়।

    ঘূর্ণিঝড় মহাসেন : সমুদ্র-বিমানবন্দরসহ স্কুল কলেজও বন্ধ

    ঢাকা, ১৫ মে : প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মহাসেন বাংলাদেশের দিকে আরো এগিয়ে আসায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমান বন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সকল কাজকর্মও। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলায় সব স্কুল কলেজও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কেননা- মহাসেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে দিনের যে কোন সময় আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর দুপুরে জরুরি বৈঠক ডেকেছে ঘূর্ণিঝড় মোকবেলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠিত সমন্বিত কমিটি। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম আবদুল কাদের জানান, ঝড় মোকাবেলায় সামগ্রিক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। সতর্কতা হিসেবে নগরীর উপকূলীয় এলাকায় জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং চলছে।

    চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন ধেয়ে আসায় সতর্কতা হিসেবে আজ বুধবার বিকাল থেকে বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিমানবন্দরের ম্যানেজার স্কোয়াড্রন লিডার রবিউল হোসেন জানান, বুধবার বিকাল ৪টা থেকে বিমানবন্দরের সব ধরনের অপারেশন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। পক্ষান্তরে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন জানান, জেলার বিমানবন্দরের সব কাজ দুপুর ১টা থেকে একদিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

    অপরদিকে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন জানান, বন্দরে নিজস্ব সতর্কতা ২ নম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩ নম্বর করা হয়েছে। সতর্কতার অংশ হিসেবে বন্দরের জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো নামানোর কাজও বন্ধের পাশাপাশি জেটিতে থাকা জাহাজগুলো সমুদ্রে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মহাসেন উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে বাংলাদেশ উপকূলের ৮০০ কিলোমিটারের ভেতরে চলে আসায় চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরের ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত নিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া মংলা বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

    মহাসেনের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
    পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তদসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের দিকে ধেয়ে আসছে। এতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৭ নম্বর এবং মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মহাসেনের প্রভাবে উপকূলীয় বিস্তীর্ণ এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
    আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল ভোরে চট্টগ্রামের কাছ দিয়ে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ রাত ১০টা থেকে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
    আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ-সাত ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
    আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, মহাসেন আজ বুধবার দুপুর ১২টায় ট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
    পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
    চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর সতর্কসংকেতের আওতায় থাকবে।
    মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৫ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৫ নম্বর সতর্কসংকেতের আওতায় থাকবে।
    ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলাগুলো এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোয় ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
    ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোয় ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
    উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
    পণ্য ওঠানামা বন্ধ, সব জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠানো হচ্ছে
    চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটিতে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের মূল জেটিতে বন্দরের নিজস্ব তিন মাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
    বন্দর সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বন্দরের মূল জেটি ও মুরিংয়ে ২১টি জাহাজ আছে। তিন মাত্রার সতর্কতা অনুযায়ী, এসব জাহাজ এখন জোয়ারের সময় পর্যায়ক্রমে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করা হয়েছে।
    বন্দরের কর্মকর্তারা জানান, চ্যানেল নিরাপদ রাখতে জেটিতে থাকা সব জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাগরে অবস্থানরত জাহাজের পক্ষে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করা সহজ হয়। জেটিতে থাকলে জাহাজের আঘাতে জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া চ্যানেলে কোনো জাহাজ ডুবে গেলে বন্দর অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
    এক হাজার ৩২৭টি মেডিকেল টিম গঠন
    মহাসেনের আঘাতের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগ উপকূলীয় ১৩টি জেলায় এক হাজার ৩২৭টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। স্বাস্থ্য ও দুর্যোগব্যবস্থাপনা কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
    সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে লোকজন
    চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবদুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা থেকে নির্দেশ এসেছে। তাই সিগন্যাল আটের জন্য অপেক্ষা করব না। আমরা সাত সিগন্যাল থাকতেই উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছি।’
    এদিকে বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।