ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’এর কক্সবাজার অতিক্রমঃমৃত-১

    0
    249

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০জুলাইঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করছে। ফলে জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী,পেকুয়া ও কক্সবাজার সদরের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে দমকাসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। একই সঙ্গে হালকা ধরনের বৃষ্টিও হচ্ছে।

    এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কোমেনের আঘাতে সেন্টমার্টিনে গাছ পড়ে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।

    কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমূল হক জানিয়েছেন, ‘কোমেন’ কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করছে। দুপুর ১২টা নাগাদ এটি কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এটি কক্সবাজার থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে দিয়ে মংলা সমুদ্র বন্দরের দিকে এগুচ্ছে। তবে এখনো ৭নং বিপদ সংকেত বহাল রয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া, সমিতি পাড়া, টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের উলুবুনিয়া, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকার লোকজন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

    প্রথম দিকে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে না আসলেও শেষ রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু করে। রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরাও সচেতনতার সঙ্গে কাজ করছেন।
    চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

    এ ছাড়া মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ বুধবার রাত বারোটার কিছু আগে এ তথ্য জানান।

    আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ বরিশাল ও চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

    উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল তিন থেকে চার ফুট কিংবা তারও বেশি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

    উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

    জলোচ্ছ্বাস ও পাহাড় ধসের আশঙ্কায় কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

    এছাড়া বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।