আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২মে,এম ওসমান: আর্ন্তজাতিক বেনাপোল চেকপোস্টে মোজাম্মেল হোসেন (৫৫) নামের এক বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। শনিবার (২মে) সকাল ৮টার সময় ইমিগ্রেশনের রথিন নামের এক পুলিশ কনস্টেবল ওই পাসপোর্ট যাত্রীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়ে বেনাপোল আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পসহ বিভিন্ন দপ্তরে পুলিশ কনস্টেবল রথিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই পাসপোর্ট যাত্রী।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার খাজুরী সেনবাগ এলাকার আব্দুর রবের ছেলে মোজাম্মেল হোসেন। তার পাসপোর্ট নং এএফ ৮০৫৬৮৭১। শনিবার সকালে তিনি ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেনাপোলে আসেন। ভ্রমন কর পরিশোধসহ কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশনের সকল অফিসিয়াল কাজ শেষ করে ভারতের প্রবেশদ্বার নো-ম্যান্সল্যান্ডের কর্মরত পুলিশের হাতে তার পাসপোর্ট দেখায়।
এ সময় পুলিশ কনস্টেবল রথীন তার ব্যাগে তল্লাসী চালিয়ে কয়েকটি হাদিসের বই পায়। কনস্টেবল রথিন তাকে বইগুলি নেওয়া যাবেনা বলে জানায়। তবে ৫’শ টাকা ঘুষ দিলে সব বই নিতে দেওয়া হবে। এ সময় পাসপোর্ট যাত্রী ও পুলিশের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে কনস্টেবল রথীন পাসপোর্ট যাত্রীকে পিটিয়ে রক্তাত্ত জখম করে। তখন যাত্রী মোজাম্মেল হোসেন ভারতে না গিয়ে আইসিপি বিজিবিসহ বিভিন্ন দপ্তরে কাস্টমস পুলিশ ও বিজিবি’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে এখানকার সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল করছে। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের শেষ রক্ষা হয়। এদিন ঘুষের টাকা না দেওয়ায় মোজাম্মেল হোসেন নামের এক পাসপোর্ট যাত্রীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে রথিন নামের এক পুলিশ কনস্টেবল। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে গেটে কর্মরত অন্যান্য পুলিশ কনস্টেবলরা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পাসপোর্ট যাত্রী মোজাম্মেল হোসেনকে তড়িঘড়ি করে ভারতে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ মোমিনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাসপোর্ট যাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন না করার জন্য সকল কনস্টেবলদের বলা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায়(ঘটনার দিন) রোল কলের সময় বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে রথীনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্য আসলাম খান বলেন, শনিবার সকালে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা কাকতালীয়। তদন্ত করে দেখা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের কোন দোষ নেই।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ইমিগ্রেশন সুপারিন্টেন্ডেন্ট হাসানুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।