গড়ে ৪৫ ভাগ ভোট কাস্টের ধারনাঃবেসরকারি ফলাফল ৯২টি

    0
    207

    “এ পর্যন্ত  প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফল: ৯২টি,আওয়ামী লীগ- ৬৪, জাপা- ১১ ও অন্যান- ১৭টি”

    আমারসিলেট24ডটকম,০৫জানুয়ারীঃ  ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গড়ে শতকরা প্রায় ৪৫ ভাগ ভোট কাস্ট হয়েছে বলে ধারণা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রবিবার দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ভোট গণনাকালে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে বলে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রতিহত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পরও ভোটকেন্দ্রে জনগণের আগমনের এ সংখ্যাকে সন্তোষজনক বলেও মনে করছে কমিশন।

    তবে এ বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত ঘোষণা দেননি কোন কর্মকর্তা। তারা বলছেন, কমিশনে পুরো ফলাফল আসার পর তা ঘোষণা শেষে আগামীকাল সোমবার নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়টি নিয়ে ব্রিফিং করতে পারবেন বলেও আশা করছেন ইসি কর্মকর্তারা।এদিকে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যদিয়েই আজ রবিবার শেষ হয়েছে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বিরোধী দলের আন্দোলন ও হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে ও নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১২টি দলের অংশগ্রহণে ভোটগ্রহণ শুরু হয় রবিবার সকাল ৮টায়।

    দেশের ৫৯টি জেলার ১৪৭ আসনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয় রবিবার বিকাল ৪টায়। এর পরই শুরু হয় ভোট গণনা। গণনা শেষে একযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।পক্ষান্তরে এ ভোটের ২দিন আগে থেকে সারাদেশে দুর্বত্তদের নাশকতার লক্ষ্য হয়ে ওঠে ভোটকেন্দ্রগুলো। আর তাদের দেয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১১১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এবারের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৮হাজার ২০৮টি। ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ ও ব্যালট পেপার ভস্মীভূত করার কারণে সারাদেশে ১৪৪টিভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। ইসি সূত্র জানা গেছে, রংপুরে ৪৪টি, গাইবান্ধায় ৪৩টি, নীলফামারীতে ৯টি, দিনাজপুরে ১৫টি, বগুড়ায় ৯টি, হবিগঞ্জে ২টি, লক্ষ্মীপুরে ৩টি, চট্টগ্রামে ২টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি, কুমিল্লায় ৪টি ও ফেনীতে ১টিসহ মোট ১৩৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতের খবর পাওয়া গেছে।তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ৫৯ জেলার নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবিসহ সশস্ত্রবাহিনীর সতর্ক অবস্থান ছিল লক্ষ্য করার মতো।বিএনপির অংশগ্রহণ না থাকায় নির্বাচনের ভোটের হার বাড়াতে ছিল ইসির প্রচারণা।

    ইসির কর্মকর্তারা জানান, দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে মোট ভোটার ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭জন। সারাদেশে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৭০৮টি ও ভোটকক্ষ ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ওই সব আসনে ভোটগ্রহণ হবে না। বাকি ১৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৯০ জন। এদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন। ভোটকেন্দ্র ১৮ হাজার ২০৯টি ও ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ২১৩টি।১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ১২টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ৩৯০জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগের ১২০, জাতীয় পার্টির ৬৬, জাতীয় পার্টি-জেপির ২৭, গণতন্ত্রী পার্টি ১, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ৬, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ২১, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ৩, গণফ্রন্টের ১, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ২, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ১, বিএনএফের ২২ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ১০৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ নির্বাচনে ১ হাজার ১০৭ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে এর মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয় ২৩০ জনের। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন ৩৩৪ জন। আর বৈধ প্রার্থী ছিল ৫৪৩ জন। তার থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন নির্বাচিত হন। বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯০ জন। এর আগে ১৯৯৬ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সর্বোচ্চ ৪৯ জন নির্বাচিত হয়েছিলেন।