গ্রামীণ ব্যাংক পুনঃগঠন করে ড. ইউনূসকে সম্মানঃবেগম খালেদা

    0
    246

    আমারসিলেট24ডটকম,২০জানুয়ারীঃ আওয়ামী লীগ নয় বিএনপিই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সময় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওপারে  বসেছিল আর যুদ্ধ করেছে এই দেশের মানুষ। আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনি এ কথা বলেন।বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয় দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, তারা জনগণের সরকার নয় বলেই দেশের মানুষের ওপর নির্বিচারে অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। এই সরকার একটি দুর্নীতিবাজ সরকার। গত পাঁচ বছরে তারা জনগণের সম্পদ লুট করেছে। তিনি বলেন, সরকারের ক্ষমতার মেয়াদ অতি অল্প দিনের। অল্প দিনেই তাদের বিদায় নিতে হবে। অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় থাকা যাবে না। বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    বিএনপির চেয়ারপারসন তরুণ যুবকদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা শিক্ষিত,  তোমাদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। সামনের সময়টা তোমাদের। তোমাদের মতো যুবকরা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল তেমনি অধিকার আদায়ে তোমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
    খালেদা জিয়া বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল প্রহসনমূলক নির্বাচন। এই সরকার জনগণের সরকার হতে পারে না। তিনি অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে আওয়ামী লীগকে জনপ্রিয়তা যাচাইয়েরও আহ্বান জানান।
    খালেদা জিয়া বলেন, অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। কারণ দেশের মানুষ নির্বাচন মেনে নেয়নি। এ সময় তিনি হাতে নিয়ে আসা নির্বাচন সম্পর্কিত বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনাম প্রদর্শন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ পুলিশ বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে।  নির্বাচনের সময় বিএনপির ২২ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
    খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার খুন আর গুমের সরকার। তারা মানুষ গুম আর খুন করে টিকে আছে। এ সময় তিনি গতকালের গাইবান্ধায় যৌথ বাহিনী ও পুলিশের সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সারা দেশে যৌথ বাহিনীর নামে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। ২৯ ডিসেম্বর বিজয়ের মাসেও তারা রোডমার্চ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে।
    জঙ্গিবাদের প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জঙ্গিবাদের সূচনা হয়। যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা, রমনা বটমূলে বোমা হামলা, গোপালগঞ্জে চার্চে বোমা হামলা আওয়ামী লীগের সময়েই হয়েছে।
    খালেদা বলেন, বিএনপি জঙ্গিবাদকে সমর্থন দেয় না। বরঞ্চ জঙ্গিবাদ দমনে র‍্যাব গঠন করে সন্ত্রাস দমন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগই এসব করে আর বিএনপির নামে চালিয়ে দেয়।
    ড. ইউনূসের বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার সম্মানিত মানুষকে সম্মান দিতে জানে না। একজন নোবেল বিজয়ীকে কি ভাষায় তারা কথা বলে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গ্রামীণ ব্যাংক আবার আগের মতো গঠন করে ড. ইউনূসকে সম্মান জানান হবে।
    সাম্প্রদায়িকতা প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির চোখে সব ধর্মের মানুষই সমান। হিন্দু,  বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম সবাই ভাই ভাই। বিএনপি কোনো মানুষের ওপর হামলা করে না। আওয়ামী লীগ এই ধরনের কাজ করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।