গ্রামবাসীর সহায়তায় ৩ডাকাত আটকঃচাঞ্চল্যকর তথ্য

    0
    219

    আমারসিলেট24ডটকম,০৫মেঃডাকাতির প্রস্তুতিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতেগ্রামবাসির সহায়তায় ৩ ডাকাত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কদমহাটা এলাকা থেকে মাইক্রোবাসসহ দেশীয়অস্ত্র ওডাকাতিতে ব্যবহৃত মালামালসহ  ব্রিজের কাছ থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত মাইক্রোর চালক শাহ আলম তারস্বীকারোক্তী মূলক জবানবন্ধীতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন আদালতে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন ধরে জেলার সদর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে রুটিন ভিত্তিক ডাকাতিসংঘটিত হওয়ায় সাধারনের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। যার ফলে পুলিশি অভিযান জোরধার করা হয়।গত শনিবার রাতে একই ভাবে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল ৮ সদস্যের একটি ডাকাত দল। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে মডেলথানার এস আই সাজ্জাদুর রহমান ও মনজুরুল হাসান মাসুদের নেতৃত্বে পুলিশ ঐগ্রামে অবস্থান নিলে টের পেয়ে ডাকাতরা গাড়ি থেকে নেমে একটি ব্রীজের নিচে আত্ম গোপন করে।এক পর্যায়ে পুলিশ গ্রামবাসীকে নিয়ে ঐ ব্রীজের কাছে অভিযান চালিয়ে ৩ডাকাত সদস্যকে আটক করে।

    ওই সময় বাকী ৫জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটককৃতরাহচ্ছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গুজারাই গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে গাড়ি চালকশাহ-আলম(২৩), একই জেলার রাজনগর উপজেলার আশ্রাকাপন গ্রামের মাহমুদ মিয়ার ছেলে রাজুমিয়া(২৭) ও আরিফুল ইসলাম(২৪)। ওই সময় মাইক্রোবাস থেকে ডাকাতিতেব্যবহৃত মুখোশ, চা-পাতি ও থালা ভাঙ্গার (লেচারভীম), ও লোহার রড়,হাত মোজা সহবেশ কিছু ধারালো অস্ত্র ও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
    চালক শাহ আলম রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট মোঃজুলফিকার আলীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তী মূলক জবানবন্ধীতেজানায়, অপর আসামী রাজু মোবাইলে কল করে বালাগঞ্জের তাজপুর নামক স্থানে একটি গানের অনুষ্টানেনিয়ে যাওয়ার কথা বলে। গত ২৯ মে রাত সাড়ে ৯ টায় তার কথা মতো গাড়ি চালকশাহ-আলম গাড়ী নিয়ে কদমহাটা এলাকায় যায়। সেখানে আসামী রাজু ৫শত টাকা দিয়ে গাড়িতে গ্যাস নিতেবলে।চালক শাহ আলম গাড়ি নিয়ে চাদঁনীঘাটের একটি ফিলিং ষ্টেশন থেকে গ্যাস নিয়ে যায়।পরে রাত ১টার দিকেআসামী রাজূ চালক শাহ-আলমকে গাড়ি নিয়ে কদমহাটা যেতে বলে। কদম হাটা থেকে রাজুদেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জামের ব্যাগসহ অপর ৫জন তার মাইক্রোবাসে উঠে। তারপর গাড়ি নিয়েচাদনীঘাট এলাকায় আসারপর আসামীদের মূখে ডাকাতির কথা শুনতে পায়। আসামীরাতাদের গাড়িতে থাকা ব্যাগ থেকে দা, ছুরি, মুখোশ, চা-পাতি ও থালা ভাঙ্গার বড়কাটার (লেচারভীম), হাত মোজা ও লোহার রড বেড় করে। তখন অপর আসামীরা তারগাড়িটি শহরের হিলালপুর এলাকায় নিয়ে যেতে বলে। সে গাড়িটি নিয়ে হিলালপুরে পৌছলেউক্ত আসামীরা গাড়ি থেকে নেমে ডাকাতি করার জন্য যায়। তখন রাজু গাড়িতে বসাছিল। অনুমান ১ঘন্টা পরে ডাকাতি করে গাড়িতে ফেরৎ আসে। তারপর চালক গাড়ি নিয়েকামালপুর নতুন ব্রীজ হয়ে উত্তরমোলাইমের রাস্তার মূখে আসলে পুলিশের গাড়ী পিছনে ধাওয়াকরে। তখন গাড়ি নিয়ে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই সময় তাদের আটক করতে পারেনি। প্রসঙ্গত,২৯ এপ্রিল শহরতলীর হিলালপুর গ্রামে ডাকাতেরগুলিতে নজরুল ইসলাম নামের এক যুবলীগ নেতা নিহত ও নুরুল আহমদের বাড়ীতে দরজাভেঙ্গে ঘড়ে প্রবেশ করে ঘরের লোকদের এলোপাথারি মারধর করে ৫ জনকে আহত করে মালামাল নিয়ে যায়। ওই সময় আলমিরা ভেঙে নগদ ৪৫হাজার টাকা ও ২০ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১৫লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেয়ার ঘটনার সাথে ও তার গাড়িতে থাকা ডাকাতরা জড়িত ছিল বলে চালক শাহ আলম স্বীকার করে।
    এ ব্যাপারে সদর থানারইনচার্জ আব্দুছ ছালেকের সূত্রে জানা যায়, তিনি বলেন, শেখ মোঃ শাকিরবাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ১২/১৩ জন ডাকাত দিয়ে ৩৯৫/৩৯৭ দঃবিঃ দিয়ে একটি মামলাদায়ের করা হয়েছে। তিনজন গ্রেপ্তার হলেও পলাতকদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং তা চলবে।