গ্যাস বিদ্যুতের নিশ্চয়তা চেয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা

    0
    236

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫ডিসেম্বরঃ বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে গ্যাস বিদ্যুতের নিশ্চয়তা চেয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার এক মতবিনিময় সভায় তারা বলেন, বিনিয়োগের জন্য গ্যাস-বিদ্যুতের নিশ্চয়তা দিন, বাকি সব প্রতিবন্ধকতা তারা নিজেরাই উতরাতে পারবেন। এ সমস্যা সমাধানে ব্যবসায়ীদের কাছে দুই বছর সময় চেয়েছেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

    শিল্প উদ্যোক্তারাও মনে করেন, রাতারাতি সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যার সমাধান করে দেবে, এটি বাস্তবসম্মত নয়। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট একটি পথ-নকশা চেয়েছেন তারা। তার আলোকে বিনিয়োগ পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নেবেন উদ্যোক্তারা। সরকারের এ শীর্ষ দুই ব্যক্তির আশ্বাসে সন্তুষ্ট আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া। তাদের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে রেডিও তেহরানকে তিনি বলেন, শুধু আশ্বাসই নয়, তার যথাযথ বাস্তবায়ন হবে বলে বিশ্বাস করি।

    শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বেশ স্থিতিশীল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতিও অনেক। তবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহার, জমির স্বল্পতা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। এত দিন এসব সমস্যা মোকাবিলা করেই বিকল্প নানা ব্যবস্থার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ এগিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এখন গ্যাস আর বিদ্যুতের নিশ্চয়তা না পেলে বিনিয়োগ এগিয়ে নেওয়া দুরূহ।

    এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ রেডিও তেহরানকে বলেন, দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, গ্যাসের সংযোগ বাড়ানোরও চেষ্টা সরকার করছে। আগামীতে হয়তো এ সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে। কিন্তু এটিই বিনিয়োগ স্থবিরতার মূল কারণ নয়; অনেক সমস্যার অন্যতম। ব্যাংক ঋণের সুদহার, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা, জমির স্বল্পতাসহ নানা কারণেই বিনিয়োগ আসছে না বলে মনে করেন অধ্যাপক আবু আহমেদ।

    বিনিয়োগের স্থবিরতার পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের আমদানির তথ্যে। এতে দেখা যাচ্ছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে আমদানি প্রবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ ঋণাত্মক বা নেতিবাচক। পুঁজি যন্ত্রপাতির আমদানি প্রবৃদ্ধিও ২৮ শতাংশ ঋণাত্মক।ইরনা