গৌহাটি-সিলেট-খুলনায় মিশন খোলার বিষয়ে দু্ই দেশ সম্মত

    0
    226

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬জুনঃ আসামের গৌহাটিতে বাংলাদেশের এবং সিলেট ও খুলনায় ভারতের মিশন খোলার বিষয়ে দু্ই দেশ সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার সন্ধ্যায় হাসিনা-মোদি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শেখ হাসিনা।

    সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ভারতের জনগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আজ আমাদের কাছে পেয়ে আমরা আনন্দিত, গর্বিত। বাংলাদেশের জন্য আজ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। মহান স্বাধীনতার সময় ভারতের কৃতজ্ঞতার কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।”

    শেখ হাসিনা বলেন, “নরেন্দ্র মোদির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দুই দেশের সমস্যার সমাধান হওয়ায় আমরা আনন্দিত।  এ জন্য ভারতের জনগণ এবং ভারতের সব রাজনৈতিক দলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”

    উল্লেখ্য, দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন তিনি।

    নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্য ও ভারতীয় দূতাবাসের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    বাংলাদেশ সফর নিয়ে সকালে টুইটারে মোদি লিখেছেন, “বাংলাদেশে যাচ্ছি। এই সফর দুই জাতির বন্ধন সুদৃঢ় করবে, আমাদের দুই দেশ ও অঞ্চলের জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনবে।”

    অপরদিকে, বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সাথে বৈঠক করেছেন।

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনার আগে মি. মোদী তার দেশেরই একটি রাজ্য সরকারের প্রধানের সাথে এই বৈঠক করলেন।

    মমতা ব্যানার্জী প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের একদিন আগে গতকাল শুক্রবারই ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের আগে ভারতীয় এই দুই নেতার মধ্যে কি আলোচনা হয়েছে সেবিষয়ে কিছু জানা যায়নি।সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন, এবিষয়ে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে।

    তবে দুটো দেশের মধ্যে প্রবাহিত অভিন্ন তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে মমতা ব্যানার্জী আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন এবং সেকারণে ভারত সরকার প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে এবার তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না।

    তবে এতো কিছুর পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে মমতা ব্যানার্জীর এই ঢাকায় আসাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন পর্যবেক্ষকরা।

    কারণ চার বছর আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সাথে মমতা ব্যানার্জীর ঢাকায় আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সেটি বাতিল করে দিয়েছিলেন।