গোশতের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে গোয়া সরকার

    0
    503

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫মার্চঃ ভারতের গোয়া রাজ্যে গরুর গোশতের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। বাধ্য হয়ে মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক থেকে গরু আমদানির নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি শাসিত গোয়া সরকার।

    গোয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চাহিদার চেয়ে গরুর গোশতের জোগান অনেকটাই কমে গিয়েছিল। ফলে, গরুর গোশত ব্যবসায়ীরা প্রায় ১০ দিন ধরে ব্যবসা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন।

    গোয়ায় বসবাসকারী একটি বড় অংশের মানুষ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। রাজ্যে ২৬ শতাংশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। তারা সরকারের কাছে গরুর গোশতের জোগান বাড়াতে জোরালো আবেদন জানায়।

    গোয়া সরকার চাপে পড়ে যাওয়ায় রাজ্যের পশুপালন মন্ত্রণালয় শনিবার মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক থেকে গরু আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছে। সরকার এজন্য বেসরকারি ক্ষেত্রের কোল্ডস্টোরেজ সাহায্যও নিচ্ছে।

    গোয়ায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ টন গরুর গোশতের চাহিদা রয়েছে। ‘গোয়া মিট কমপ্লেক্স’ (জিএমসি)-এর চেয়ারম্যান লিন্ডন মোন্টেরিও জানান, এখন  অন্য রাজ্য থেকে গরুর গোশত এনে কোল্ড স্টোরেজের মাধ্যমে বিক্রি শুরু হয়েছে।

    গরুর গোশত অমিল হওয়ায় সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মানুষজন। যদিও সরকার এজন্য আন্তঃরাজ্য বিফ মাফিয়া এবং স্থানীয় গরুর গোশত ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছে। ২০০’র বেশি গরুর গোশতের ব্যবসায়ী রয়েছেন গোয়াতে।

    তারা বলছে, পশু অধিকার সম্পর্কিত এনজিও তাদের লাগাতার টার্গেট করছে। সরকারের দাবি উড়িয়ে দিয়ে রাজ্যে গরুর গোশতের জোগান কমে যাওয়ার পেছনে ব্যবসায়ীরা এসব এনজিওকে দায়ী করেছেন।

    ভারতে বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে গরু জবাই নিষিদ্ধ হয়েছে আগেই, এবার বিজেপি শাসিত হরিয়ানাতে গরু জবাই বন্ধের জন্য কঠোর আইন আনা হচ্ছে। যদিও গরুর গোশতের চাহিদা মেটাতে বিজেপি শাসিত গোয়া সরকারকে এখন অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করতে হচ্ছে।

    ভারতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি বরাবরই গরু জবাই বন্ধের পক্ষে সওয়াল করে আসছে। মহারাষ্ট্রসহ যেসব রাজ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ করে আইন পাস হয়েছে সেগুলোকে ‘মডেল বিল’ হিসেবে অন্য রাজ্যগুলোর মধ্যেও বিলি করতে চাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি  সরকার।

    সমস্ত রাজ্য সরকারই যাতে একই ধরণের আইন পাস করানোর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করতে পারে সেজন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে এ সম্পর্কে পরামর্শ জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)।ইরনা