গৃহপালিত পশুর সাথেই দিন কাটছে বন্যাদুর্গত ৮৫ পরিবারের

    0
    217

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২সেপ্টেম্বর,আলী হোসেন রাজন,মৌলভীবাজারঃ   বাঁধের উপরে ঘর, রান্নাবান্না, থাকা-খাওয়া সবই বাঁধের উপর। গত ৩-৪ মাস ধরে এভাবেই গৃহপালিত পশুর সাথে একই ঘরে দিন কাটছে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বন্যাদুর্গত প্রায় ৮৫টি পরিবারের। সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকলেও কুশিয়ারা নদীর মাত্রাতিরিক্ত পানি আর দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের প্রায় ৮৫টি পরিবার। গৃহপালিত পশুর সাথে একই চালের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

    প্রথম দফা বন্যায় তলিয়ে যায় ধান, দেখা দেয় মাছের মড়ক। ২য় দফা বন্যায় তলিয়ে যায় ঘরবাড়ি। এরপর পানি কিছুটা কমতে শুরু করে। ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষতির পর যখন ঘুরে দাঁড়ানের চেষ্টা করছিলেন বানভাসী সংগ্রামী মানুষ। ঠিক তখন থেকে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে আবারও  পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে যায় বাড়ি ঘর। সব মিলেয়ে দীর্ঘস্থায়ী এ ব্যনায়  মানুষদের এখন দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।

    আখাইলকুড়া ইউনিয়নের  জামাল হোসেন  বলেন ‘তিনবারকুর বন্যায় আমরারে একবারে শেষ করি দিছে। আমার কষ্টের বানাইল ঘরটিও বন্যায় ভাঙ্গি দিছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর আফাল (ঢেউ) উঠে। রাইত অইলে ঘুম নাই। ঘরে ঠিকা দায়। সাপেরও ডর লাগে। বন্যায় অনেকে ভিটা ছাড়া করছে। ঘুমাইবার জাগা নাই। খুব কষ্টে দিনকাল কাটের। খাইতাম পারিয়ার না, ঘর বানাইতাম কিলা।’ এবার ঈদর নামাজ ঈদ গাত পরতাম পারছিনা।

    দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে কুশিয়ারা নদী রক্ষা বাঁধের উপরে আশ্রয় নিয়ে গৃহপালিত পশুর সাথে একই চালের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। আশপাশের এলাকাগুলোতেও জলাবদ্ধতা থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন এসব পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যরা। সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল।

    জগতপুরের মো: মিজবাহ বলেন আমাদের এখানে সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি অরেকই ত্রান নিয়ে আশে তবে মানষের তুলনায় এগুলু কম ।

    মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও মৌলভীবাজার-৩ আসন থেকে এমপি র্প্রাথী আব্দুল মালিক তরফদার  শোয়েব বলেন আমি আমার ইউনিয়নে ঈদরে দিন ঈদের খারার বিতনর করি,তাই বলে এখানেই শেষ নয়, আমার ইউনিয়ন যারাও বানভাসী মানুষের পাশে দাড়াতে হবে। আমি মনে করি সরকারের পাশাপাশি আমরা যারা বিত্রমানরা আছি তারা এগিয়ে আশা উচিৎ ।

    কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার নীচে না নামা পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোন আশা নেই বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্ত্তী

    আর জেলা প্রশাসক  মোঃ তোফায়েল ইসলাম জানান, বন্যাকবলিতদের মধ্যে সরকারি সহায়তা অব্যাহত আছে, যদিও বানভাসীদের দাবী সরকারি ত্রাণ সহায়তা একেবারেই অপ্রতুল।

    বন্যার পানি না নামা পর্যন্ত সরকারি ত্রাণ সহায়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি এসব পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যদের কাজে লাগানোর দাবী স্থানীয়দের।