গা ঢাকা দিয়েছেন শীর্ষসহ মধ্যম সারির অনেক নেতা

    0
    236

    আমার সিলেট  24 ডটকম,০৯নভেম্বরঃ দলের শীর্ষ কয়েক নেতা আটকের পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছেন বিরোধী দল বিএনপির নেতাকর্মীরা।আটক এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন শীর্ষসহ মধ্যম সারির অনেক  নেতা কর্মী। গত কাল শুক্রবার বিকেলে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার থেকে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা হরতালের ঘোষণা দেন। ঘোষণা শেষে জোটের নেতাকর্মী ও সংবাদকর্মীরা কার্যালয় ত্যাগ করার পর মাগরিবের আযানের পরই চেয়ারপারসনের কার্যালয় এলাকা ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনা প্রচার হওয়ার পর নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

    পরে  শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সোনারগাঁও হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় আটক করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে। রাত ১টার দিকে বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাস থেকে বের হওয়ার সময় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে ও আটক করা হয়। এছাড়া রাত ১১টার দিকে চেয়ারপারসন কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় কম্পিউটার অপারেটর হুমায়ুনকে আটক করে গুলশান থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

    আগে রাত ১২টা পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র, উপদেষ্টা আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অধ্যাপক এমএ মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন অসীম, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তবে তাদেরকে বাসায় না পেয়ে পুলিশ ফিরে যায়।

    শীর্ষ নেতাদের আটক এবং নেতাদের বাসায় তল্লাশী চালানোর খবর বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আত্মগোপনে চলে যান দলের শীর্ষ নেতারা।একটি সুত্র থেকে জানা যায়,  ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র কোনো নেতার মোবাইলে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি। প্রায় সবার মোবাইল ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়।