গার্মেন্টস শ্রমিক কেন্দ্রীয় মে ডে-২০১৯ এ সমাবেশ ও বর্ণীল র‌্যালী

    0
    601

    আজ ১ লা মে বুধবার, সকাল সাড়ে ৯ টায় রাজধানী ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে গার্মেন্টস শ্রমিক কেন্দ্রীয় মে ডে-২০১৯ এ সমাবেশ ও বর্ণীল র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি কমরেড রাশেদ খান মেনন এম.পি. সভাপতি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, সভাপতি-সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন লুৎফুন নেসা খান বিউটি এমপি।র‌্যালীতে ৩ হাজারের অধিক গার্মেন্টস শ্রমিক বাংলাদেশী পতাকা এবং ফেডারেশনের লাল পতাকাসহ অংশগ্রহন করবেন।

    এতে সভাপতিত্ব করেন আমিরুল হক্ আমিন, সভাপতি, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।সঞ্চালনা করেন মিসেস আরিফা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক -জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।
    উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ ফারুক খান, মিস সাফিয়া পারভীন, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, মিসেস আলেয়া বেগম, মোঃ ফরিদুল ইসলাম, নাসিমা আক্তার, ইসরাত জাহান ইলা, মোঃ কাশেম, মোঃ হুমায়ুন কবির ও মোঃ সবুজ।এতে সংহতি জানান মোস্তফা আলমগীর রতন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা।

    মুল বক্তব্য এবং দাবীসমূহ : সকল করখানায় ঘোষিত মজুরী বাস্তবায়ন করতে হবে।জীবন-যাপন উপযোগী মজুরী নিশ্চিত কর।অগ্নিকান্ড, দূর্ঘটনা, শ্রমিকের মৃত্যু আর নয়—নিরাপদ ও উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত কর শ্রমিকদের নামে দায়েরকৃত ৩৫টি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর।চাকুরীচ্যুত ১১ হাজারের অধিক শ্রমিককে পুনঃবহাল কর।ব্লাকলিষ্টের মাধ্যমে শ্রমিক হয়রানী বন্ধ কর।টার্গেট এর নামে শ্রমিক হয়রানী বন্ধ কর।সোয়েটারে জ্যাকার্ড মেশিন অপারেটরদের ৮ ঘন্টার অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম ভাতা দিতে হবে।অবিলম্বে ইমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কীম চালু কর।বর্তমান বাস্তবতা এবং আইএলও কনভেনশন ১২১ এর আলোকে ক্ষতিপুরন আইন সংশোধন কর।ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের সকল বাধা অপসারন করতে হবে।গার্মেন্টস সহ সকল বে-সরকারী সেক্টরে সরকারী সেক্টরের মত অবিলম্বে মেটর্নিটি ছুটি ৬ মাস বাস্তবায়ন চাই।জাতীয় বাজেটে গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা, নিরাপদ মাতৃত্ব কেন্দ্র, শিশু লালন কেন্দ্র ও বাসস্থানের জন্য বিশেষ বরাদ্ধ চাই।ইপিজেড,এসইজেড, কৃষি এবং ডমেস্টিক ওয়ার্কার্সদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত কর।১৩. পরিবার, রাষ্ট্র, সমাজ ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের সমঅধিকার নিশ্চিত কর।