আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮জুলাইঃ ব্রাজিল থেকে বলে আজ নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।আমদানি করা গম ‘মানুষের খাওয়ার উপযোগী’ বলে খাদ্য অধিদপ্তর প্রতিবেদন দিলেও ওই গম নিতে কাউকে বাধ্য করা যাবে না
এরইমধ্যে পুলিশ, বিজিবি, আনসার, জেলখানা, বিভিন্ন ডিলার ও আটা কল ছাড়াও টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখাসহ (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিতরণ করা ওই গম কেউ ফেরত দিতে চাইলে তা ফেরত নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেয়।
এর আগে,‘নিম্নমানের’ গম আমদানি ও সরবরাহের অভিযোগ দুদককে দিয়ে তদন্তের আদেশ চেয়ে পাভেল মিয়া নামের এক আইনজীবী গত ২৮ জুন এই রিট আবেদন করেন।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি করে ৩০ জুন হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেয়। ওই গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি-না, সে বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
সে অনুযায়ী, খাদ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের পাঠানো প্রতিবদন গত ৫ জুলাই আদালতে জমা দেয় রাষ্ট্রপক্ষ।
ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ওই গম ‘নষ্ট ও পচা’বলে পুলিশের পক্ষ থেকে আপত্তি তোলার খবর গণমাধ্যমে এলে আলোচনা শুরু হয়। ‘পচা গম’ আমদানির অভিযোগে বিএনপির পক্ষ থেকে খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করা হয়।
তবে ওই গম ‘পচা নয়’ দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সংসদে বলেন, এ গম সম্পূর্ণ খাবার উপযোগী; মান নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট।
বাংলাদেশ শিল্প বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, আমদানি করা গমের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠায় খাদ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে বিভিন্ন জেলার খাদ্য গুদাম মজুদ ওই গমের ৫৭টি নমুনা নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করে খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়।
সেখান থেকে দেয়া প্রত্যয়ণ পত্রে লেখা হয় “ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম চুক্তিপত্রের নির্দেশ অনুসারে গ্রহণীয় সীমার মধ্যে থাকায় মানুষের খাওয়ার উপযুক্ত বলে খাদ্য অধিদপ্তর হতে প্রত্যয়ণ করা হল।”
আমদানি করা দুই লাখ পাঁচ হাজার ১২৮ মেট্রিক টন গমের মধ্যে এক লাখ ৭৪ হাজার ৯২৬ মেট্রিক টন ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।ইরনা