গভীর নলকূপ পাইপে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় পুনঃতদন্ত

    0
    294

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪জুনঃ রাজধানীর শাহজাহানপুরে গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত পাইপের মধ্যে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি পুনঃতদন্ত করতে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

    মামলার বাদী শিশু জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমানের আদালতে তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়ে পুনঃতদন্তের আবেদন করেন। পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি ডিবিকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।

    ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাহজাহানপুর কলোনির মাঠে খেলতে গিয়ে শিশু জিহাদ ওয়াসা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অরক্ষিত গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে মারা যায়। দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা অভিযান চালানোর পরও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে কয়েকজন যুবক নিজস্ব কৌশলে তৈরি লোহার ‘খাঁচার’ সাহায্যে শিশু জিহাদের লাশ উদ্ধার করেন।

    ওই ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর ফৌজদারি আইনের ৩০৪(ক) ধারায় মামলা দায়ের করেন।

    মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাদীর ছেলে জিহাদ কূপের পাশে খেলা করার সময় পরিত্যক্ত পাইপের ভেতর পড়ে মারা যায়। ওই ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির ফকির ‘দায়িত্বে অবহেলায়’ জিহাদের মৃত্যুর অভিযোগ এনে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন।

    মামলার দুই আসামি হলেন- শাহজাহানপুর রেল কলোনিতে পানির পাম্প বসানোর দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেএসআরের মালিক আব্দুস সালাম ও রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম।

    তাদের মধ্যে ঠিকাদার সালাম ২০১৫ সালের ৮ মার্চ আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। এ ছাড়া অপর আসামি প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

    ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল মহানগর হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে শাহজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আবু জাফর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

    ২০১৫ সালের ২১ মে আসামি প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা মহানগর হাকিম অশোক কুমার দত্তের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।নতুন বার্তা