গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রশ্নে বাংলাদেশ পিছিয়েঃআরএসএফ

0
923
গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রশ্নে বাংলাদেশ পিছিয়েঃআরএসএফ
গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রশ্নে বাংলাদেশ পিছিয়েঃআরএসএফ

আমারসিলেট ডেস্কঃ বাংলাদেশ গত এক বছরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে আরও ১০ ধাপ পিছিয়েছে। আজ ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ উপলক্ষে প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১৮০ দেশের মধ্যে ১৬২তম। ২০২১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫২ তম।

২০২২ সালের “ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স” ‘র তথ্য অনুযায়ী গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকারের প্রশ্নে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ভুটান। ভুটানের অবস্থান ৩৩ তম। অন্যদিকে নেপালের অবস্থান ৭৬, শ্রিলংকার ১৪৬, ভারতের ১৫০, আফগানিস্তানের অবস্থান ১৫৬ এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৫৭ তম।

পাঁচটি মাপকাঠিতে বিচার করে একটি দেশের সংবাদমাধ্যম কতটা স্বাধীনতা ভোগ করছে তা বোঝানোর  চেষ্টা করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস। এই পাঁচটি মাপকাঠি হল- রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি কাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট এবং নিরাপত্তা। সবগুলো মাপকাঠির স্কোরের গড় করে তৈরি করা হয় একটি দেশের গ্লোবাল স্কোর। ১০০ পয়েন্টের এই সূচকে যে দেশের স্কোর যত কম, সে দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা তত বেশি বলে ধরা হয়।

প্রতি বছর  ৩ মে তারিখটি ‘বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। এ বছর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে-র থিম হলো ‘ডিজিটাল অবরোধের মুখে সাংবাদিকতা’।

দিবসটি উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড। নিজের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে এক টুইট বার্তায় সুইস রাষ্ট্রদূত লিখেছেনঃ

“ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে-তে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্বের ওপর জোর দিই। স্বাধীন এবং নির্ভুল রিপোর্টিং এখন আগের চেয়ে আরও বেশি প্রয়োজন। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকরা ভয় ও প্রতিশোধের ভীতি ছাড়াই যেনো তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটা নিশ্চিত করা জরুরি।”

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ০৩ মে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে উদ্‌যাপন করা হয় বিভিন্ন রাষ্ট্র তথা সরকারগুলোকে এটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে গণমাধ্যম বা সংবাদমাধ্যমকে দেশ ও দশের স্বার্থে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়াটা কতোটা জরুরি।