খালেদা জিয়া জনগণের কল্যাণ ও মঙ্গল চান না : শেখ হাসিনা

    0
    481

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের কাজ যখনই শুরু হয়েছে, তখনই অস্থির হয়ে গেছেন বিএনপির নেত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ ও মঙ্গল চান না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় হতে শুরু করলে তিনি ষড়যন্ত্র শুরু করেন।’
    রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
    বিরোধী দলের হরতালের মধ্যেই জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে। বেলা তিনটার দিকে জনসভা শুরু হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন। পৌনে ছয়টার দিকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাংসদ তোফায়েল
     আহমেদ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘খালেদা জিয়া আপনি পরাজিত হবেন। কারণ তিনি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন।’
    তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া বিজয়ের মার্চ মাসকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতিকে অপমানিত করেছেন। তিনি রক্ত চান বলেছেন। একজন নেত্রী কী করে রক্ত চাইতে পারেন!’
    শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন তোফায়েল আহমেদ। এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘তরুণদের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করেই আমরা ঘরে ফিরব।’

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যারা বিরোধিতা করছে, ১৯৭১ সালে তাদের প্রভুরা যেভাবে নির্মূল হয়েছিল, তারাও সেভাবে নির্মূল হবে।
    আমু বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে গ্রামে গ্রামে বিধবা ভাতা দিয়েছিলেন। আশ্রয় দিয়েছিলেন। এ অবস্থা তাদের সহ্য হয়নি। তিনি বলেন, খালেদার আন্দোলন এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুেকন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে। এক লাখের বেশি মানুষকে পথে বসানো হয়েছে। 

    খালেদা জিয়া জনগণের কল্যাণ ও মঙ্গল চান না : শেখ হাসিনা
    খালেদা জিয়া জনগণের কল্যাণ ও মঙ্গল চান না : শেখ হাসিনা