খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘেরাও করতে বনানীতে অবস্থান

    0
    209

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬ফেব্রুয়ারীঃ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘেরাও করতে বনানী মাঠ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠন ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কাউন্সিল’।

    পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে আজ (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে গুলশান ২ নম্বর চত্বরে জড়ো হয় মেহেদী হাসান নেতৃত্বাধীন ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কাউন্সিল’ এর শতাধিক নেতা-কর্মী। তখন সেখানে কর্তব্যরত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আব্দুল আহাদ গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কূটনৈতিক পাড়ায় এই ধরনের কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে তিনি তাদের সরে যেতে বলেন। পরে সকাল ১০টার দিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড’-এর নেতা-কর্মীরা পশ্চিম দিকে সরে এসে বনানী মাঠে সমবেত হন।

    মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বক্তব্যের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি পালন করছে সরকার সমর্থক সংগঠনগুলো। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী বিভিন্ন সংগঠন। এতে অংশ নেয় একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, গণজাগরণ মঞ্চ, আমরা গর্বিত বাঙালি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।”

    শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, “তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।”

    এরপর ২৩ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মোমতাজ উদ্দিন আহমদ।

    নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান তিনি। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটি রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসামূলক মামলা।ইরনা