খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশি নিরাপত্তা

    0
    604

    আমারসিলেট24ডটকম,০৪জানুয়ারীঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশি নিরাপত্তা। ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দুই মাথায় নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। কার্যালয়ের প্রধান ফটকের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে। খালেদা জিয়া দ্বিতীয় তলায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। উপরে ও নিচে বিভিন্ন কক্ষে তার সঙ্গের নেতানেত্রী ও অফিস কর্মীরা আছেন। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকায় নেতাকর্মীরা এখন ঘুমাচ্ছেন বলে কার্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা জানিয়েছেন।
    পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    র‌্যাবের একটি দলও কার্যালয়ের কাছাকাছি অবস্থান করছে। গুলশানের যে সড়কে বিএনপি নেত্রীর কার্যালয় সেই ৮৬ নম্বর সড়কের দুই মাথায় দুটি তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে পুলিশ। এই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
    গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের কার্যালয়ে আসেন খালেদা জিয়া।

    দলীয় নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উদ্দেশে বেরোতে চাইলে তার পথ আটকায় পুলিশ। কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে একটি ট্রাক আড়াআড়ি করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, যা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সরানো হয়েছে। রাত পৌনে ১২টার দিকে খালেদা জিয়া গুলশানে নিজের বাসায় যাবেন বলে ব্যারিকেড সরাতে বললে তা না হওয়ায় কিছুক্ষণ গাড়িতে অপেক্ষা করে ফের কার্যালয়ে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
    খালেদার সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, রাশেদা বেগম হীরা, সুলতানা আহমেদ, রেহানা আখতার রানু, সৈয়দা আসিফা পাপিয়া, রাশেদা বেগম হীরা, টিএস আইয়ুবসহ আরো কয়েকজন নেতা কার্যালয়ের ভেতরে আছেন।
    গত বছর ৫ জানুয়ারি বিএনপির বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ওই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে। ওই দিবসের বছরপূর্তির দিনে দলটি ঢাকায় সমাবেশ করতে চাইলেও এখন পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি পায়নি। এ বিষয়ে পুলিশের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
    এদিকে ওই দিনকে ‘সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ হিসেবে উদযাপনের ঘোষণা দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার কথা বলেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ইতোমধ্যে হুমকি দিয়েছে, অনুমতি না পেলেও সমাবেশ করবে তারা। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন ১৪ দলের নেতারাও তাদের রাজপথে মোকাবেলার হুমকি দিয়েছেন।