খালেদার বিরুদ্ধে ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ২৩ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি

    0
    248

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৮জুন: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছে আদালত।

    ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার মামলার শুনানি শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টার দিকে এ দিন ধার্য করেন।

    দুই মামলায় হাজিরা দিতে সকাল সাড়ে ৯টায় গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা দিয়ে সাড়ে ১০টায় আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। মামলার কার্যক্রম শুরু হলে বেগম জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবা দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার জন্য আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করেন।

    সময়ের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে মামলার বাদী হারুনুর রশিদ যে সাক্ষী দিয়েছেন তা বাতিল চেয়ে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছি। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমাদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হোক।

    মামলার শুনানি শেষে নতুন তারিখ ধার্য করার পর বেলা ১২টার দিকে আদালত থেকে বেরিয়ে বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া।

    এর আগে সর্বশেষ গত ২৪ মে ওই দুই মামলায় আদালতে হাজিরা দেন খালেদা জিয়া ।

    জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন প্রদান করেন।

    দুর্নীতির ওই দু্ই মামলায় ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।

    মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক।ইরনা