খালেদার নির্দেশে সালাহ উদ্দিন আত্মগোপনে গিয়েছিলেনঃমায়া

    0
    236

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৯মেঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে সালাহ উদ্দিন আহমেদ আত্মগোপনে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণ-দুর্যোগ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

    আজ(মঙ্গলবার) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় মায়া অভিযোগ করেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আত্মগোপনে রেখে বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল।

    মায়া বলেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশে সালাহ উদ্দিন আহমেদ আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। এখন আবার খালেদা জিয়ার নির্দেশেই ভারতে গিয়ে নাটক করছেন।
    তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিষয়ে প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতো বিএনপি, তাকে সরকার গুম করেছে। যখন সালাহ উদ্দিনকে পাওয়া গেলো তখন কেন তাদের মুখে কুলুপ আটকালো। জনগণ এ রহস্য জানতে চায়।

    রাজধানীতে ভিন্ন এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি  বলেছেন,  বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরে আসতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ভারতের মেঘালয় থেকে সালাহ উদ্দিনকে  যদি দেশে ফিরে আসতে হয়, তবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আসতে হবে। শুধু তাই নয়, দেশে আসলে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি সারাদেশে আন্দোলনের নামে যে সন্ত্রাসমূলব কর্মসূচি পালন করেছে, সেসব কর্মসূচির বিবৃতি দিয়েছিলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাই ৯২ দিনের সেই সন্ত্রাসী কর্মসূচিতে যে মানুষগুলো মারা গেছেন, তার সঙ্গে সালাহউদ্দিন জড়িত। সে কারণেই তার  বিচার হওয়া প্রয়োজন। সালাহউদ্দিন আহমেদকে আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে এনে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান হাছান মাহমুদ।

    এদিকে, মেঘালয়ের শিলং সিভিল হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে গত রাতেই দেখা করেছেন স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। তিনি পুলিশের অনুমতি নিয়ে সোমবার ভারতীয় সময় রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় হাসিনা আহমেদের সঙ্গে বিএনপির কয়েকজন নেতাও ছিলেন। তারা প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানান গেছে।

    হাসিনা আহমেদ স্বামীর দেখাশোনা এবং চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাকে তৃতীয় কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া যায় কি না সে চেষ্টা তিনি করবেন। শিলং পৌঁছানোর পর হাসিনা আহমেদ সেখানকার আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেন।

    সালাহউদ্দিন আহমেদ শিলং সিভিল হাসপাতালে বিচারাধীন বন্দী বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোস্বামীর তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।ইরনা