‘ক্ষুব্ধ নামসর্বস্ব অনলাইন সম্পাদকরা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

    0
    458

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪এপ্রিলঃ ১৪২২ বাংলা নবনর্ষের শুভ লগ্নেই স্বাধীনতা বিরোধী, কু-চক্রি, তেলবাজ,অবৈধ মিডিয়া দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত ‘ক্ষুব্ধ নামসর্বস্ব

    অনলাইন সম্পাদকরা’ শিরোনামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করতে চান “বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ্যাসেসিয়েশন (বনপা)’র সভাপতি শামসুল আলম স্বপনসহ সকল সদস্যবৃন্দ।
    সংবাদে বলা হয়েছে, রাজধানীসহ রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, উখিয়া ও বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রকাশিত নিউজ পোর্টালগুলোকে ‘নামসর্বস্ব’ এবং এ লেখায় আপত্তি ও ক্ষোভ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সম্পাদক-মালিকরা। আরো বলেছেন, দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে বনপা’কে এ বিশেষণ (নামসর্বস্ব) দেওয়া হয়নি বরং সূত্র থেকে প্রাপ্ত এবং যাচাই করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এমনটি লেখা হয়েছে বোঝালেও দ্য রিপোর্টকে নিয়ে টেলিফোনে অনেকেই আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

    দ্য রিপোর্টের প্রতিবেদককে বাহরাম খান বলেন, খবরে আপত্তিকর মন্তব্যকারীর একজন রাজশাহীর বাঘা নিউজের সম্পাদক সেলিম ভাণ্ডারী বলেছেন, ‘তুই আমাদের চিনিস। আমরা সারাদেশে ২০ হাজার অনলাইন পোর্টালের নেতৃত্ব
    দেই। আর তুই আমাদের নামসর্বস্ব বলিস। তোর এতবড় সাহস? তোর মতো সাংবাদিকের যোগ্যতা আছে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার?’ এ ছাড়াও আরও কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করে ফোন কেটে দেন বাঘা নিউজের সম্পাদক।
    এ বিষয়ে বাঘা নিউজ ডটকম’র সম্পাদক সেলিম ভান্ডারী বলেন, দ্য রিপোর্টের প্রতিবেদককে বাহরাম খানের সঙ্গে কিংবা ওই পত্রিকায় সম্পৃক্ত কোন ব্যাক্তির সঙ্গেই তিনার কখনোই কোন কথা হয়নি এবং আপত্তিকর মন্তব্যের কথা গুলি বাহরাম খানের ব্যাক্তিগত তৈরী এক মিথ্যা নাটক।

    এছাড়াও সেলিম ভান্ডারীর মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকায় এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে রোববার সন্ধা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ছিল। তিনার নাম দিয়ে মিথ্যা বক্তব্য ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করায় তিনিও দ্য রিপোর্টে প্রকাশিত খবরের প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।
    মূলতঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রীকে অবজ্ঞা করে বনপা’কে ও বনপা’র সদস্যদের অপমান করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের দুঃস্বাহস দেখিয়েছে
    তারা।
    এছাড়াও বিজয় নিউজ ডটকম’র সম্পাদক ও বনপার সভাপতি শামসুল আলম স্বপনকে নিয়ে যে সকল কথা লিখা হয়েছে তাও মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বলা হয়েছে,শামসুল আলম ‘বনপা’ নামক সংগঠনের সভাপতি। রোববার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বৈঠক হয়।

    বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের উন্নয়নে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা হলেও কেউই বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেননি। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক দাবিকারী বক্তারা মূলত এ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য তথ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন। তথ্য অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্রে তারা জানতে পারেন, আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করা শামসুল আলম স্বপন নিজেই একটি
    ‘নামসর্বস্ব’ অনলাইনের সম্পাদক। দেখেন, তথ্য অধিদফতরের নামেও তারা কত বড়
    মিথ্যারোপ করেছে। তথ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী প্রথম আলো পত্রিকায় ‘
    গণমাধ্যমকর্মীরাও আইনের ঊর্ধ্বে নন’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে
    রোববার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ
    পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন (বনপা)’র উদ্যোগে বাংলাদেশের উন্নয়নে অনলাইন গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। কিন্তু দ্য রিপোর্টে লিখেছেন, এ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের জন্য তথ্যমন্ত্রীর সহযোগিতার জন্য ওই বৈঠক হয়েছে।
    এ বিষয়ে শামসুল আলম স্বপন বলেন, (বনপা) শুধু একটি নামই নয়। একটি আন্দলনের নাম। যে আন্দোলন মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের আন্দোলন । যে আন্দোলন গণমানুষের আন্দোলন। একটু পিছে ফিরে তাকাই। ২০১২ সাল সেপ্টেম্বর মাস। খবর শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনলাইন গনমাধ্যম। এর পর জানা গেল স্বপ্ন শ্রষ্টাদের
    সৃষ্টি ধ্বংসের পায়তারা করছে এক শ্রেনীর হায়নার দল।

    যারা ১৯৭১ সালের
    যুদ্ধের সময়ও এ কাজটি করেছিল। প্রতিবাদে তৈরি হয় ‘বনপা’ নামক সংগঠনটির।
    একজন দুইজন করে তাৎক্ষনিক প্রায় ৩০০ এর অধিক পোর্টাল যুক্ত হয় এ সংগঠনের
    সাথে। শুরু হয় কালো অনলাইন নীতিমালার বিরুদ্ধে আন্দলন। এর পর ২০১২ সালের
    ১৫ অক্টোবর জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তন থেকে “বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল
    এ্যাসেসিয়েশন (বনপা)’র প্রধান উপদেষ্টা প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার,বনপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শামসুল আলম স্বপন, বনপা’র কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আকতার চৌধুরী, সুভাষ সাহা, কবি মুহিত চৌধুরী, অধ্যাপক জাকির সেলিম, আলী কদর পলাশ, মিজানুর রহমান হেলাল, আমিরুল ইসলাম আসাদ, সোহেল রেজা, তাজবীর সজিব, বিজয় ঘোষ, সেলিম ভান্ডারী, শিমুল খান, আবু চৌধুরী, বিপ্লব কান্তি দে সহ শতাধিক নেতৃবৃন্দ যৌথভাবে আন্দোলনের ডাক দেন। বনপা’র ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের শতশত নিউজ পোর্টাল মালিক/সম্পাদক ও সাংবাদিকরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বিদেশ থেকে বাংলায় প্রকাশিত নিউজ পোর্টালের প্রকাশক সম্পাদকরাও বনপা’র আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন। বর্তমানে শামসুল আলম স্বপনের প্রচেষ্টায় সরকারের সহযোগিতায় জাতীয় অনলাইন নীতিমালা তৈরির শেষ পর্যায়ে এসেছে বিধায় একটি কুচক্রী মহল অনলাইন নীতিমালার বিরুদ্ধে কাজ করছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় এমন মিথ্যারোপ করে যাচ্ছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তি