কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারন দাবিতে ৭দিনের আল্টিমেটাম

    0
    222

    কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারন দাবিতে ৭দিনের আল্টিমেটাম ,ডিসি বরাবরে ৫৩ ইউপি মেম্বারের স্মারকলিপি

    আমারসিলেট24ডটকম,১৩জানুয়ারীঃ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অপসারন দাবিতে ৭দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন উপজেলার ৫৩ জন ইউপি সদস্য। সোমবার সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবরে দেয়া এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। স্মারকলিপিতে বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে যোগ দেয়ার পর থেকে  ইউএনও এএইচএম আশিক বিন ইকরাম নানা অনিয়ম-দূর্নীতির পাশাপাশি প্রশাসনিক শিষ্টাচার বহির্ভুত কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছেন। তার অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও তার অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। কথায় কথায় অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ,মারপিটে উদ্যত হওয়া এবং গেফতারের হুমকি তার নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। গত বছরের ৩১ডিসেম্বর তার অফিস কক্ষে উপজেলাচেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে তার হাতে লাঞ্চিত হন উপজেলা শিক্ষা অফিসার । একই দিন তার হাতে লাঞ্চিত ও অপদস্থ হন ইউপি মেম্বার সানুর আলী।

    অভিযোগে প্রকাশ, ৩১ডিসেম্বর  সকাল ১১টায় উপজেলা  ভিজিডি কার্ডধারী ও প্রতিবন্ধী ভাতাপ্রাপ্তদের মধ্যে শীতের কম্বল বিতরনের কথা ছিল। বেলা ২টায় বিতরন কাজ শুরু হলে প্রাপকদের মধ্যে চরম বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়। তখন উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউপি’ সদস্য সানুর আলী প্রতিবন্ধী ও ভিজিডি কার্ডধারীদের পৃথক করে বিতরন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউপি মেম্বার সানুর আলীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন । লাঠি হাতে মরধর করতে তেড়ে যান তার দিকে। গ্রেফতারেরও নির্র্দেশ দেন পুলিশকে। শিষ্টাচার বহির্ভুত তার এহেন আচরনে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষজন হতবাক হয়ে যান। তারা মেম্বার সানুর আলীকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার  হাত থেকে রক্ষা করেন।

    এ ঘটনার পর থেকে উপজেলার ইউপি মেম্বারদের মধ্যে চাপার ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে। আর এ ক্ষোভের বহি প্রকাশ ঘটিয়ে তারা সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে তার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেন। স্মারকরিপিতে তারা এ ঘটনার প্রতিকার চেযে ৭দিনের মধ্যে ইউএনও এএইচএম আশিক বিন ইকরাম এর অপসারন দাবি করেন । অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী ঘোষনার হুশিয়ারী দেন তারা। স্মারকলিপির অনুলিপি সিলেট-৪আসনের সংসদ সদস্য ও বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল মহলে প্রেরন করা হয়। জেলা প্রশাসকের সংশ্লিষ্ট শাখা স্মারকলিপি প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করেছে।