কুশিয়ারাতে অবৈধ বালু উত্তোলঃ১০কোটি টাকার বালু জব্দ

    1
    490

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪মার্চ,মতিউর রহমান মুন্নাঃ গতকাল সোমবার বিকালে নবীগঞ্জের বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড এলাকায় কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় হবিগঞ্জ জেলা ও নবীগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ১০ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় এককোটি ঘনফুট বালু জব্দ করেছেন। এসময় বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিন ও ১৯৮টি লোহা পাইপ আটক করা হয়েছে।

    জানাযায়,দীর্ঘ ২বছর যাবৎ কিছু লোকজন নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের সংলগ্ন কুশিয়ারা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ৫টি এন্টার প্রাইজের নামে কোটি কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছিল। এব্যাপারে একাধিকবার প্রশাসনের লোকজন অভিযান পরিচালনা করলে সীমান্তবর্তী কুশিয়ারা নদীতে হবিগঞ্জের প্রশাসন বালু জব্দ করতে গেলে তারা বলে সুনামগঞ্জ থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি এনেছে।

    আবার সুনামগঞ্জ প্রশাসন এলে বলে হবিগঞ্জ থেকে অনুমতি এনেছে। এভাবে ছলচাতুরী করে দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ কোটি কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলন করে তারা বিক্রি করে আসছিল। প্রতিবছর কুশিয়ারা নদী থেকে তারা শত শত কোটি কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছে।

    গতকাল দুটি জেলার প্রশাসন একসাথে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের মেশিন সহ ১৯৮টি ২৪ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের লোহার পাইপ আটক কওে এবং ৪টি বালুর বিশাল স্তুপ জব্দ করে সিলগালা করে দেন। এসময় বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে গেলেও একজন হাজির হয়ে প্রশাসনের কাছে সময় চান।

    তখন উপস্থিত হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(আরডিসি) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান তাদেরকে একদিনের সময় দিয়ে বলেন এর মধ্যে সঠিক কাগজ পত্র না দেখাতে পারলে বালূ ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা হবে।

    আরডিসি যে সব কোম্পানীর নামে বালু জব্দ করেন তারা হলো ফেমাস ট্রের্ডাস,ইউনাইডেট এন্টার প্রাইজ, শিপন এন্টার প্রাইজ,আলী এন্টার প্রাইজ, জামারগাও এন্টার প্রাইজ,ও একতা এন্টার প্রাইজ আটককৃত বালুর সত্বাধিকারী। আটককৃত বালুর মালিক দাবিদার দীঘলবাক ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম হোসেন বলেন আমাদের বালু উত্তোলনের কাগজপত্র আছে আমরা পরে দেখাবো। স্থানীয় ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন বলেন, আমি প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছি।

    আমার সামনে কোন এন্টার প্রাইজের লোকজন সঠিক কাগজ দেখাতে না পারায় স্তুপকৃত বালু আটক করা হয়। তবে এখান থেকে প্রতিবছর কয়েকশ কোটি টাকার বালু উত্তোলন হয় সেটা সঠিক কি বেঠিক আমি জানিনা। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা হবিগঞ্জ জেলা আর ডিসি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(আরডিসি) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন যেসব এন্টার প্রাইজের মালিকের বালু আটক করা হয়েছে তারা কেউ সঠিক কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি।

    সবার পক্ষে গোলাম হোসেন সময় নিয়েছেন কালকে কাগজ দেখাবেন। এতোদিন তারা প্রশাসনের সাথে ছলচাতুরি করে বালু উত্তোলন করছিল। তারা হবিগঞ্জের প্রশাসন বালু জব্দ করতে গেলে তারা বলে সুনামগঞ্জ থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি এনেছে।

    আবার সুনামগঞ্জ প্রশাসন এলে বলে হবিগঞ্জ থেকে অনুমতি এনেছে।ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে। আমরা এককোটি ঘনফুট বালু,১৯৮টি লোহার পাইপ ও একটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছি কাগজ পত্র দেখাতে না পারলে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।