কিশোরগঞ্জ তাড়াইলের হাসান আলীকে মৃত্যুদণ্ড

    0
    217

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৯জুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের সৈয়দ মোঃ হাসান আলী বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।  রায় ঘোষিত হওয়ার পর প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের জানান, ফাঁসি অথবা গুলি করে হাসান আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যলকর করা যাবে।

    মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১  হাসান আলীকে তিনটি অপ রাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং দুটি অপরাদে ফাঁসির আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

    আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এর আগের সব রায়েই ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এই প্রথম কোনো রায়ে ফাঁসি অথবা গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্য কর করা যাবে বলা হয়েছে।

    ট্রাইব্যুনালের ফ্রসিকিউটর এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, হাসান আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা যতক্ষণ না মৃত্যু নিশ্চিত হয় ততক্ষণ গুলি করে রায় কার্যকর করা যাবে। কীভাবে রায় কার্যুকর করা হবে সেটা পরে কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে।

    এদিকে পলাতক হাসান আলীর জন্য ট্রাইব্যুনালের নিয়োগ করা আইনজীবী আবদুস শুকুর খান এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনসহ কারো কাছ থেকে যথাযথ সহযোগিতা পাননি তিনি। উচ্চ আদালতে আপিল করা হলে হাসান আলী মুক্তি পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    গত ১৫ ও ১৯ এপ্রিল হাসান আলীর বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগ ও আইনি বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে ২০ এপ্রিল হাসান আলীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান।

    এর আগে ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর হাসান আলীর বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী। পরদিন থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হাসান আলীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা হরি দেবনাথসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২৬ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তবে আসামির পক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিল না।

    ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর হাসান আলীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট, আটক ও নির্যাতনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ২২ আগস্ট আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ।নতুনবার্তা