কাল সোমবার হাইকোর্ট বেঞ্চে বাংলা ভাষার শুনানি

    0
    232

    আমারসিলেট24ডটকম,০৬এপ্রিলঃ ইলেকট্রিক সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ও গাড়ির নম্বরপ্লেট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ইংরেজি সংবাদ ছাড়া সব অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞাপনে বাধ্যতামূলভাবে বাংলা ভাষা ব্যবহার করতে হাইকোর্টের আদেশ না মানায় রিট আবেদন করা হয়েছে। আগামী কাল সোমবার কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

    একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই আদেশ দিয়েছিলেন। এক মাসের মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়নেও নির্দেশ ছিল হাইকোর্টের।সে সময়ের রিটকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ এ আদেশ বাস্তবায়িত না হওয়ায় পুনরায় রিট আবেদন দায়ের করেছেন একই বেঞ্চে।রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
    ড. ইউনুস আলী আকন্দ জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমসহ সর্বত্র বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছিলেন আদালত। মন্ত্রিপরিষদ, আইন, স্বরাষ্ট্র ও সংস্থাপন সচিবকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
    ওইদিন আদালতে ইউনুস আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়। বাংলা ভাষা প্রচলন আইন হওয়ার পর ২৭ বছর কেটে গেলেও এর বাস্তবায়ন না হওয়ায় ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই রিট করেন ইউনুস। তিনি সে সময় বলেন, ১৯৮৭ সালের মার্চে পাস হওয়া ওই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন ছাড়া অন্যান্য সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যবহার কর হবে। নথি ও চিঠিপত্র, আইন আদালতের সওয়াল-জবাব এবং অন্যান্য আইনানুগত কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখতে হবে।
    উল্লেখিত কোনো কর্মস্থলে যদি কোনো ব্যক্তি বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় আবেদন বা আপিল করেন তা হলে তা বেআইনি ও অকার্যকর হবে। যদি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এ আইন অমান্য করেন তাহলে সেজন্য তিনি সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধির অধীনে অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং তার বিরুদ্ধে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    রিটে বলা হয়, আইন প্রণয়নের পর এতোদিন অতিবাহিত হলেও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা এ আইন ঢালাওভাবে অমান্য করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে বিধি অনুসারে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া করা হয়নি। এ জন্য আইনটি বাস্তবায়নে উচ্চ আদালতের আদেশ প্রয়োজন।
    সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩ এবং বাংলা ভাষা প্রচলন আইন ১৯৮৭ এর ৩ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশের সর্বস্তরে তথা সরকারি অফিস আদালত, আধা-সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যতিত অন্যান্য সব ক্ষেত্রে ও চিঠিপত্র আইন-আদালতের সওয়াল-জবাব এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যাবলি বাংলায় লিখতে ও কার্যকরি ব্যবস্থা প্রবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে ড. মো. ইউনুস আলী আকন্দ রিটটি দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।