কালবৈশাখী ঝড়ে মহিলা ও শিশুসহ ১২ জনের মৃত্যু

    0
    172

    আমারসিলেট24ডটকম,২৮এপ্রিলনেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ সিলেট,  মৌলভিবাজার  জেলায় রোববার   দিবাগত মাঝ রাতে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে মহিলা ও শিশুসহ ১২ জনেরমৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নেত্রকোনায় আটজন এবং সুনামগঞ্জে চারজন নিহত হয়েছেন।এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক। ওই জেলা গুলোতে  ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হযেছে। বিধ্বস্তহয়েছে কয়েকশ ঘরবাড়ি। ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

    নেত্রকোনায় নিহত ৮
    নেত্রকোনার কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জ, বারহাট্টা ও সদর উপজেলায় রোববার রাতেকালবৈশাখী ঝড়ে ঘরচাপায় একই পরিবারের চারজনসহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে।  আহতহয়েছেন শতাধিক। এছাড়া বিধ্বস্ত হয়েছে ১১ গ্রামের তিন শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি।

    নিহতরা হলেন কলমাকান্দার বিশমপুর গ্রামের একই পরিবারে আকলিমা (২৯), সাগর(১০), রানা (৭), জনি (৪); নয়ানগর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে মাসুম মিয়া(১১); নেত্রকোনা সদরের বন্নি গ্রামের ফজর আলী মুন্সী (৯০); মোহনগঞ্জের সোমআক্তার (৬); বারহাট্টায় এমদাদ (১৪)।

    স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে কলমাকান্দারবিশমপুর গ্রামের একটি আধাপাকা ঘর ভেঙে এর নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজনমারা যান। এছাড়া নয়ানগর গ্রামে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে নেত্রকোনাসদর, মোহনগঞ্জ ও বারহাট্টায় আরো তিনজনের মৃত্যু হয়। ঝড়ে ফসল ও গাছপালারব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আহতদের নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সুনামগঞ্জে নিহত ৪
    সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। আহতহয়েছেন অর্ধশতাধিক। রোববার রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঝড় হয়। ঝড়েনিহত ব্যক্তিরা হলেন কাশু মিয়া (৩৪), সামছু মিয়া (৬৫), দুধ মিয়া (৫০) ওবিবি আক্তার (৭)।

    ওই ঝড়ে ৪ জেলাতেই অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এখনো অনেক জায়গায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।