কারাগারে জি কে গউছকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের

    0
    405

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭জুলাই,শংকর শীলঃ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামী হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র (সাময়িক বরখাস্তকৃত) ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছকে কারাগারে হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে জি কে গউছ এর ছোট ভাই জি কে গাফফার বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহম্মদ খন্দকার এর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

     রবিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে দায়েরকৃত মামলায় আসামী করা হয় কারাগারে আটক দুইটি হত্যা মামলার আসামী শায়েস্তাগঞ্জের ইলিয়াছ মিয়া উরফে ছোটনকে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি স্থগিত করে এ ঘটনায় ইতোপূর্বে হবিগঞ্জ কারাগারের জেলার বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলাটি প্রতিবেদন আসলে দুইটি মামলার কার্যক্রম একসাথে শুরু হবে বলে আদেশ দেন।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ থানা সালেহ আহম্মেদ কনা মিয়ার পুত্র ইলিয়াছ মিয়া দুইটি হত্যা মামলায় হবিগঞ্জ কারাগারে বন্দি আছে। অপর দিকে জি কে গউছ একই কারাগারে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামী হিসাবে বন্দি আছেন। গত ১৮ ই জুলাই ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে সকাল ৯টার দিকে গউছ তার ডিবিশন প্রাপ্ত সেলে যাবার সময় সেলের সামনের রাস্তায় আসামী ইলিয়াছ বালতির স্টিলের সূচালো হাতল দিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে গউছ এর মেরুদন্ডের পাশে আঘাত করে।

    এতে জি কে গউছ মারাতœক রক্তাক্ত জখম হন। এ সময় সাক্ষী শফিকুর রহমান শফিক, ইমদাদুল হক এমরান, ইমতিয়াজ আব্দুল্লাহ কয়েছ সহ কয়েকজন ইলিয়াছের কবল থেকে গউছকে রক্ষা করেন। সাথে সাথে কারা কতৃপক্ষ তাদের হেফাজতে নিয়ে যান। গউছ এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। মামলায় হবিগঞ্জ কারাগারের ভিতর গউছকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের সময় সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করে।

    মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় উক্ত ঘটনার যথাযত তদন্ত এবং ইলিয়াছের দুস্কর্মের সহযোগী ষড়যন্ত্রকারীদের খুজে বের করে বিচারের সম্মূখীন করা প্রয়োজন। মামলায় আরও উল্লেখ করা ডিবিশন প্রাপ্ত বন্দী ও সাধারণ বন্দীদের মধ্যে জেল কোড অনুযায়ী কারা অভ্যন্তরে দেখা সাক্ষাৎ অথবা যোগাযোগ করা সম্ভব নয়। বাদী মামলা পরিচলনা করেন জেলা আইনজীবি এডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও এডভোকেট আব্দুল হাই।