কানাইঘাটে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যঃআইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নের সম্ভাবনা

    0
    212

    “কানাইঘাটে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভূমি দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নের সম্ভাবনা “

    আমারসিলেট24ডটকম,১২মার্চ,বদরুল ইসলামঃ কানাইঘাটের পল্লীতে এক খন্ড জমির দখল নিয়ে যে কোন সময় দুটি পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার সুতারগ্রাম মৌজার আব্দুল হাসিম ও একই সাকিনের আব্দুল জলিলের পুত্র ফরিদ উদ্দিনের মধ্যে মৌজাস্থিত ১৬৭ জেএল’র  সাবেক ৪৫৯ ও হাল ৫৫৭ দাগে ৫৭শতক জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে না পেরে আব্দুল হাসিম মাননীয় সহকারী জজ আদালত কানাইঘাট বরাবরে স্বত্ত্বমামলা  (নং-১৯/১৯৮৬) দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানীর পর বিজ্ঞ আদালত ২৪/১১/৯৮ইং তারিখে বাদীর অনুকূলে রায় প্রদান করেন। এতে বিবাদীপক্ষ ফরিদ উদ্দিন সংক্ষুব্ধ হয়ে মাননীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আপীল মোকদ্দমা (নং-১৫০/১৯৯৯) দাখিল করেন। মাননীয় যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত বিচারান্তে সাবেক রায়কে বহাল রাখেন। কিন্তু প্রতিবাদী ফরিদ আহমদ উক্ত রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে পুনরায় মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন মোকদ্দমা (নং-১৬৮৩/২০০৬) দাখিল করলে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত তপশীল বর্ণিত ভূমিতে স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করেন। এতসব আইন প্রক্রিয়া সম্পাদনের পরও ফরিদ আহমদ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে অবৈধভাবে ভূমি খন্ডটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় উভয় পক্ষ কানাইঘাট থানায় মামলা (নং-৩/১৪ ও ৪/১৪) দায়ের করেন। মামলা দুটি বিচারাধীন থাকাবস্থায় ফরিদ উদ্দিন তার দলবল নিয়ে আবারো বিরোধীয় ভূমি খন্ডটি জবর দখলের চেষ্টা করলে আব্দুল হাসিম প্রতিকার চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা ১১/১৪ দায়ের করেন। বিরোধীয় ভুমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিজ্ঞ আদালত থেকে কানাইঘাট থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিরোধীয় ভূমিতে কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করে উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন। এতদসত্ত্বেও ফরিদ আহমদ ও তার লোকজন বিরোধীয় ভূমিটি জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে স্থানীয় লোকজন আশংকা প্রকাশ করছেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফরিদ আহমদ ভূমি দখল করতে গেলে সেখানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি হয়ে খুন-খারাবিসহ এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।