কানাইঘাটের চতুলে চাঁদা না পেয়ে দোকান ভাংচুর,মামলা করায় প্রাণ নাশের হুমকী!

0
946
কানাইঘাটের চতুলে চাঁদা না পেয়ে দোকান ভাংচুর,মামলা করায় প্রাণ নাশের হুমকী!
কানাইঘাটের চতুলে চাঁদা না পেয়ে দোকান ভাংচুর,মামলা করায় প্রাণ নাশের হুমকী!


রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার চতুল বাজারে মার্কেটের ব্যবসায়ীর নিকট চাঁদা না পাওয়ায় জনসম্মুখে দোকান ভাংচুর করে চাঁদাবাজ ভূমিখেকু চক্র। মামলা তুলে নিতে প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে চক্রটি। নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে মামলার বাদী।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার কানাইঘাট উপজেলার রাউতগ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে আব্দুর রকিব এবং মার্কেটের মালিক মার্কেট দেখাশুনা করিতে গেলে প্রভাবশালী, দাঙ্গাবাজ ও ভূমি খেকু প্রকৃতির লোক ইন্দ্রকোনা গ্রামের মৃত আলাউর রহমানের ছেলে মুহিবুল হক (৪৫), মৃত একরাম আলীর ছেলে হবিব উল্লাহ (৫১), হারাতৈল বেতু গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মনির উদ্দিন (৫০) নুরপুর গ্রামোর মৃত ইনছান আলীর ছেলে নুর ইসলাম(৩৪), শফিক (৩৫), রাউতগ্রামের মৃত গণেশ নমসূদ্র’র ছেলে পবিত্র নমসূদ্র (২৬), সরুখেল গ্রামের মৃত কটমনি দাসের ছেলে ধন দাস (৩০), সহ জাকারিয়া (২৯), মোস্তফা আনোয়ার জুয়েল (২৮), নোমান রশিদ (৩০), মামুন রশিদ (৩৪) সহ অন্যান্য আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক দলবদ্ধ হইয়া ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মুহিবুল হক, হবিব উল্লাহ এবং মনির উদ্দিন গালিগালাজ করে এবং মার্কেট ভেঙ্গে ফেলার হুমকীদেয়। ২এপ্রিল শুক্রবার সকাল ৭টায় মুহিবুল হক, হবিব উল্লাহ এবং মনির উদ্দিন দলবল নিয়ে বাদীর মার্কেটের হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
মার্কেট ভাংচুরের ঘটনায় আব্দুর রকিব বাদী হয়ে মাননীয় দ্রুত বিচার আদালত, সিলেটে হাজির হয়ে আইন শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনের ২০০২ এর ২,৪,৫ ধারা মোতাবেক লিখিত অভিযোগ দায়ের করে (যাহার নং-১৩/২০২১)।

এদিকে অভিযোগ দায়ের করার পর হতে বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মার্কেটের মালিক ও বাদীকে প্রকাশ্যে প্রাণ নাশের হুমকী প্রদান করে আসছে। অব্যাহত হুমকীর কারনে নিরিহ পরিবারটি আত্মংকের মধ্যে রয়েছে। বাজার এলাকায় আসলে প্রতিপক্ষ হামলা করবে।
এবিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলী ও রাউত গ্রামের আব্দুল জলিল প্রতিবেদককে জানান, আব্দুর রকিবের নিজস্ব মালিকানা জায়গার উপর তার দোকান রয়েছে। প্রতিপক্ষ দীর্ঘ দিন হতে নানা ভাবে আব্দুর রকিবকে হয়রানী করে আসছে। ঘটনার দিন সকালে তারা আমাদের সম্মুখে দোকানগৃহটি ভাংচুর করতেছে।
চতুল বাজার সিএনজি অটোরিক্সা চালক আলম মিয়া প্রতিবেদককে বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন হতে আব্দুর রকিব ভাইয়ের মার্কেটে অফিস করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। প্রতিপক্ষের লোকজন চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা না দেওয়ায় মার্কেটের দোকান প্রকাশ্যে ভাংচুর করছে।
এবিষয়ে ঐ মার্কেটের সাবেক ব্যবসায়ী স্থানীয় ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম বলেন, প্রতিপক্ষের সাথে কয়েক দফা বৈঠকের মাধ্যমে আমরা তাদের বিরুধ নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। আমি শুনতে পারলাম প্রতিপক্ষ গত ২ এপ্রিল লোকজন নিয়ে এসে দোকান গৃহটি ভাংচুর করে।