কাদের সিদ্দিকী সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীঃঘরের ছেলে ঘরে এসেছে

    0
    231

    আমারসিলেট24ডটকম,২৪ফেব্রুয়ারীঃ কর্মরত পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পলাতক আসামিদের খুঁজে বের করা হবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত সদস্যদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চারজন পুলিশ সদস্য দিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কেন স্থানান্তর করা হচ্ছিল, এতে নিরাপত্তাজনিত কোনো দুর্বলতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যায়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন, সেদিকে নজর রাখার জন্য মন্ত্রীদের সতর্ক করে দেন।

    এ ছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা, বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবহার, জঙ্গিবাদের অর্থায়নসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচনে অনেক জায়গায় নিজেদের কারণেই পরাজয় হয়েছে। বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপিদের খবরদারি ও দলীয় কোন্দলের কারণেই হারতে হয়েছে।

    তিনি আরো জানান, অনেক উপজেলায় যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল করেছে তৃণমূলের নেতারা। তাছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণেও বিজয় নিশ্চিত করা যায়নি। সামনের নির্বাচনগুলোতে সবাই মিলে দলীয় প্রার্থী বিজয়ের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও কয়েকটি উপজেলায় একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ নিয়েছেন শেখ হাসিনা।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে কয়েকজন মন্ত্রী টাঙ্গাইল উপ-নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এই সময় কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই এবং সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।একটি সূত্র জানায়, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরের ছেলে ঘরে এসেছে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগেই ছিলেন। তিনি আমাদের সমালোচনা করেছেন। নির্বাচন নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই নির্বাচনে আসছেন। এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে আগামী অর্থ-বছরের বাজেট নিয়ে কয়েকজন মন্ত্রী আলোচনায় অংশ নেন। কেউ কেউ বাজেট কাটছাট না করা নিয়ে এবং নিজের মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।